বিদেশী কোচের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না প্রিন্স

ছবি:

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অনুশীলন শুরু হয়েছে কদিন আগেই। তবে, দলের সঙ্গে এখনও যোগ দেননি টাইগারদের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। এই ক্যারিবিয়ান রুবেল-মুস্তাফিজদের সাথে আগামী ৫ জানুয়ারি যোগ দেবেন। এসেই হাল ধরবেন বাংলাদেশ দলের পেস বিভাগের।
ওয়ালশ না থাকলেও টাইগার পেসারদের অনুশীলন থেমে নেই। শুক্রবার সকালে রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বিরা বোলিংয়ের বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক পেসার গোলাম নওশের প্রিন্সের কাছ থেকে।
সঙ্গে পেয়েছেন অনুপ্রেরণাও। প্রিন্স ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ এই সময়ে বাংলাদেশের হয়ে ৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ক্রিকেটে ছেড়ে এখন প্রবাসী তিনি। সেই সঙ্গে ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত। কিন্তু মাঠের মায়া যেন একবিন্দু ছাড়তে পারেননি। ক্রিকেটের টানে ছুটে এসেছে উত্তরসূরিদের মাঝে।
নিজেদের সম্পদ ভেবে তাসকিন-মুস্তাফিজদের ভবিষ্যৎ গড়ার পরামর্শ দিয়েছেন এই সাবেক তারকা পেসার, ‘বোলিংয়ের কিছু সাজেশন দেয়ার চেষ্টা করেছি। কীভাবে আমি করতাম। দিনে দিনে তো পরিবর্তন হয়েছে, এখন কোচ আসছে। কোচ তো আসবে যাবে। কিন্তু এটা তোমাদের নিজেদের মাথায় রেখে করতে হবে। এটা কিন্তু তোমাদের দায়িত্ব, মাঠের ভেতরে বোলিং করার ট্যাকটিসটা কিন্তু তোমার। কোচ শুধু বলে দেবে, ওটা তোমাদের নিজেদের হ্যান্ডেল করতে হবে। কোচ আসবে-যাবে কিন্তু তোমাদের নিজেদের সম্পদ মনে করে ভবিষ্যৎ গড়তে হবে।’
এদিকে, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়ে শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। এই লঙ্কান কোচ বাংলাদেশ দলের হয়ে নিজের কোচিং দক্ষতা দেখিয়ে এখন নিজ দেশের কোচ। তারপর আমরা এখনও বিদেশি কোচের উপর নির্ভরশীল। যদিও, হঠাৎ করেই বিদেশি কোচ না পাওয়াতে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে খালেদ মাহমুদ সুজনকেই কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। সাবেক ক্রিকেটার প্রিন্স মনে করেন এখনই সঠিক সময় জাতীয় দলের দায়িত্ব দেশি কোচদের হাতে তুলে দেয়ার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কী আসলেই বিদেশি কোচ দরকার? নিজেদের দেশে এত কোচ থাকতে! আমরা তো জানি লেভেল ১, ২, ৩ করা লোক আছে অনেক। আমাদের খেলোয়াড়, কোচরাও কিন্তু অনেক কোচের সঙ্গেই কাজ করেছে। কোচিং তো আর রকেট সায়েন্স না! আমার ধারণা স্থানীয় কোচদের কথা খেলোয়াড়রা সুন্দরভাবে বুঝতে পারে, নিজেদের কথাও সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারে। দেশি কোচ হলেই এ দলটার জন্য ভালো হয়।’
প্রিন্স মনে করেন, তাদের সময় থেকে বর্তমান ক্রিকেটের সংস্কৃতিটা অনেক বদলে গেছে। নিজেদের মধ্যে ভুল ত্রুটি নিয়ে আলোচনা করলে তা সহজেই জানা সম্ভব। তাসকিন-রুবেলদের এভাবেই নিজেদের ভুলত্রুটি নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রিন্স।
এই প্রসঙ্গে প্রিন্স বলেন, 'আমরা যখন খেলতাম তখন সব ক্রিকেটার একসঙ্গেই গল্প করতাম। কারণ নিজেরা নিজেরা আলোচনা করলে নিজেদের ভুলগুলো জানা যেত সহজেই। যেমন আমি ভুল করলে ব্যাটসম্যান সান্টু বলতো আমার বোলিংয়ে কি ভুল ছিল। সেই কালচারটাই এখন নেই। আমি সেটাই ওদের বলেছিল যেন অন্তত নিজেরা আলোচনা করে, নিজেদের মধ্যে সম্পর্কটা ও ক্রিকেট কালচারটা আরো ভালো করে।’
