আরিফুলের সেঞ্চুরি, ডাবলের দ্বারপ্রান্তে নাসির
ছবি:

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের ম্যাচে তৃতীয় দিন বরিশালের চেয়ে ৭১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমেছিলো নাসির হোসেনদের রংপুর বিভাগ। আগের দিনই দুর্দান্ত একটি শতক হাঁকিয়ে দিন শেষ করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার নাসির।
আজ তৃতীয় দিন খেলতে নেমেও দারুণ শুরু করেন নাসির। ইতিমধ্যে দেড়শো রান তুলে নিয়েছেন তিনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮০ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট করছেন জাতীয় দলের থেকে ব্রাত্য এই অলরাউন্ডার।
নাসিরের পাশাপাশি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন আরিফুল হকও। ১০৩ রান নিয়ে ক্রিজে ব্যাট করছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর তাঁর দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪১২ রান।
আগের দিন ১০১ রানে অপরাজিত ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান নাসির। নাসিরের সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল হক। দিন শেষে রংপুরের সংগ্রহ ছিলো ৪ উইকেটে ২৬৪ রান। বরিশালের হয়ে মনির হোসেন একাই নিয়েছিলেন ৬৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট।

এর আগে দ্বিতীয় দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সায়মন আহমেদের উইকেট হারালেও লিটন দাস এবং সোহরাওয়ার্দী শুভ'র ব্যাটে লড়তে থাকে রংপুর।
কিন্তু মাত্র ১১ রান করে সোহরাওয়ার্দী শুভও বিদায় নেন। এরপর নাইমকে সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে রান তুলতে থাকেন লিটন দাস। তবে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে লিটন দাসও বিদায় নেন।
এরপর নাইম এবং নাসিরের ব্যাটে লড়তে থাকে রংপুর। দুজনই তুলে দেন ফিফটি। নাইম ৫৪ রান করে বিদায় নিলেও আরিফুল হককে সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষে রান তুলতে থাকেন অভিজ্ঞ নাসির।
বরিশালের বোলারদের দেখে শুনে খেলে নাসির তুলে নেন শতক। এরপর নাসির এবং আরিফুলের ব্যাটে আর কোন উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে রংপুর।
দ্বিতীয় দিন শেষে রংপুরের সংগ্রহ ছিলো ৪ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান। আগের দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৩৫ রানে অল আউট হয় বরিশাল। বরিশালের হয়ে সোহাগ গাজী করেন সর্বোচ্চ ৯৯ রান।
এছাড়াও উইকেট রক্ষক নুরুজ্জামান ৫৮ এবং আল-আমিন করেন ৫০ রান। রংপুরের পক্ষে ৫৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করে সবথেকে সফল বোলার তানবির হায়দার। এছাড়াও ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার শুভাশিষ রায়। অপরদিকে আরিফুল হক নিয়েছেন ৬৮ রানে ৩ উইকেট।