ভিন্ন মেরুতে স্মিথ-রুট

ছবি:

অ্যাশেজের প্রথম তিন টেস্টেই শিরোপা নিজেদের করে নেয় অজিরা। আর টানা তিন টেস্টে পরাজয় বরণ করে সম্মানের শিরোপা খোয়াতে হয় অজিদের কাছে। প্রথম দুই টেস্টে সম্মানজনক ভাবে হারলেও পার্থের তৃতীয় টেস্টে লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় জো রুটের দলকে। ইনিংস ও ৪১ রানের পরাজয়ের পর ২০১৩ সালের পর অজিদের মাটিতে আরেকটি অ্যাশজে ধবলধোলাই চোখ রাঙ্গানি দিচ্ছে ইংলিশদের।
তবে পার্থে ভালোই শুরু পেয়েছিল সফরকারীরা। ৪০৩ রানের বড় সংগ্রহ করেও এভাবে ইনিংস হারের পরও অজিদের কৃতিত্ব দিলেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে রুট প্রথম ইনিংসের দুই ইংলিশ সেঞ্চুরিয়ানকেও কৃতিত্ব দিতে ভোলেনি ইংলিশ দলনায়ক।
ইংলিশ দলনায়ক বলেন, 'এটা মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। অস্ট্রেলিয়া খুবই ভালো খেলেছে। অজিরা তিন ম্যাচেই দাপটের সাথে খেলে আমাদের হারিয়েছে। কিন্তু আমাদের আরো ভালো খেলতে হবে। আমরা মেলবোর্নে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করেই নামবো এবং আশা করি সেখানে ভালো পারফর্ম করবো।

সত্যিকার অর্থে, তাদের (মালান, বেয়ারস্টো) ঐ জুটিই আমাদেরকে ম্যাচে খুব ভালো অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল। তারা দুইজন যেভাবে খেলেছে অবশ্যই তারা কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু ঐ অবস্থান থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ১০০ রানের ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা খুবই দুঃখজনক।'
এদিকে পার্থে পরাজয়ের পর রুটের কণ্ঠে যতটা আক্ষেপ ঝরল ঠিক ততটাই আনন্দ প্রকাশ করলেন অজি অধিনায়ক। প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজ জয়ে বেশ আনন্দিত স্মিথ। পার্থে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি দলের সবাই মিলে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারে খুব উচ্ছ্বসিত স্মিথ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্মিথ জানান, 'অ্যাশেজে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পাওয়া খুবই আনন্দের। এইরকম একটা মুহূর্তের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি। এমনকি কঠোর পরিশ্রমের পর আমরা সফল হয়েছি। আমরা খুবই নান্দনিক ভাবে অ্যাশেজে ফলাফল পেয়েছি। প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান খুব ভালো সংগ্রহ।
কিন্তু আমরা আরো বড় স্কোর করতে সমর্থ হয়েছি। এমনকি আমাদের এক ইনিংসের বেশি ব্যাট করার প্রয়োজন হয়নি। আমি আমার দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে খুবই গর্বিত। আমরা পার্থে ইংলিশদের খুব অল্পতে বেঁধে ফেলতে সমর্থ হয়েছি এবং অ্যাশেজ শিরোপা উদ্ধার করেছি এটা খুবই আনন্দের।'
'আমরা মেলবোর্নে যাওয়ার আগে আজকে রাতে শিরোপা পুনরুদ্ধারের উৎসবের আনন্দটা উদযাপন করবো। আশাকরি আমরা মেলবোর্ন ও সিডনিতে জয় তুলে নিয়ে তাদের ৫-০ তে হারাতে সক্ষম হব। তাহলে অ্যাশেজের বাকী সময়টাও আমরা আনন্দে কাটাতে পারবে।' এর আগে ২০১৩ সালের পর অজিদের মাঠে আরেকবার ধবলধোলাই হতে যাচ্ছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্মিথ একথা জানান।