কলকাতায় সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি পাঁজরের চোটের কারণে খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টেও হয়তো এই পেসারকে পাচ্ছে না প্রোটিয়ারা। এনগিডিকে দলে নেয়ার পেছনে এটাই বড় ইঙ্গিত। অবশ্য রাবাদার ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা।
দলে পেসার হিসেবে এরই মধ্যে আছেন মার্কো জানসেন, করবিন বশ ও উইয়ান মুল্ডারের মতো তারকা। তবে পেস বোলিং আক্রমণে এনগিডির উপস্থিতি নিশ্চিতভাবেই বাড়তি অভিজ্ঞতা যোগ করবে প্রোটিয়া শিবিরে। এরই মধ্যে দলের সঙ্গে মঙ্গলবার যোগ দিয়েছেন এনগিডি।
বুধবার দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে গৌহাটিতে রউনা হবেন তিনি। এনগিডি এখন পর্যন্ত ২০ টেস্ট খেলেছেন প্রোটিয়াদের হয়ে। তবে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কেপটাউনে ভারতের বিপক্ষে দলে ফেরার পর মাত্র তিনটি টেস্ট পেয়েছেন তিনি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে টেস্ট দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন তিনি।
এই পেসারের খেলা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ ছিল জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। ভারতে তার একমাত্র টেস্ট ম্যাচের অভিজ্ঞতা ২০১৯ সালের রাঁচি টেস্ট। সেই ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন এনগিডি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বেশ ধারাবাহিক তিনি।
সর্বশেষ পাকিস্তান সফরে সাউথ আফ্রিকার হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলেছেন তিনি। গত সপ্তাহে টাইটান্সের হয়ে সিএসএ টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জেও অংশ নিয়েছেন এই পেসার। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সাউথ আফ্রিকার পেসাররা ৪০ ওভার বল করে ছয় উইকেট তুলেছিলেন, আর সেই পারফরম্যান্সেই তারা ২০১০ সালের পর প্রথমবার ভারতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে।