এর বাইরে আলিশান শারাফু ৮ বলে ১২, মোহাম্মদ ওয়াসিম ১৫ বলে ১৪ ও ধ্রুব পারাশার ২৩ বলে ২০ রান করে। আর কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ। আর একটি করে উইকেট নেন সাইম আইয়ুব ও সালমান আলী আঘা।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি পাকিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেসার জুনায়েদ সিদ্দিক ১৮ রানে ৪ উইকেট এবং বাঁ-হাতি স্পিনার সিমরানজিত সিং তিন উইকেট নেন। এই দুজনের বোলিং তোপে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে বাঁচা মরার ম্যাচে।
পাকিস্তানকে ১৪৬ পর্যন্ত টেনে নেয়ার কৃতিত্ব আফ্রিদির। তিনি ৯ নম্বরে নেমে ১৪ বলে অপরাজিত ২৯ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন। এর মধ্যে শেষ ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। যা পাকিস্তানের লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে।ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে রেফারি পাইক্রফটের আচরণ নিয়ে আপত্তি তুলে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান।
যদিও নানা নাটকীয়তার পর এক ঘণ্টা পর ম্যাচটি মাঠে গড়ায়। পাইক্রফট ক্ষমা চাওয়ার পর পাকিস্তান খেলতে মাঠে নামে। টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরব আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। শুরুতেই পাকিস্তানের ওপেনার সাইম আয়ুবকে টানা তৃতীয় ম্যাচে শূন্যতে ফেরান জুনায়েদ।
শাহিবজাদা ফারহান একবার এলবিডব্লিউ থেকে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেও পরে পুল শট টপএজ করে লং লেগে ধরা পড়েন। ৩ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৯ রানে ২ উইকেট। এরপর ফখর জামান ও সালমান আলী আঘা তৃতীয় উইকেটে ৫০ বলে ৬১ রান যোগ করে পাকিস্তানের রানের চাকা সচল করেন।
ফখর ছিলেন আক্রমণাত্মক, তিনি অফস্পিনার ধ্রুব পারাশারকে টানা দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে পাকিস্তান নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। আঘা কাভারের ওপর দিয়ে লফটেড শট খেলতে গিয়ে বল তুলে দেন ডিপ কাভারে। এরপর সিমরানজিত এক ওভারে দুটো উইকেট নেন।
ফিফটি করা ফখর লিডিং এজে শর্ট এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, আর হাসান নওয়াজ হন এলবিডব্লিউ। এরপর জুনায়েদ তাঁর তৃতীয় শিকার হিসেবে মোহাম্মদ নাওয়াজকে ফেরান এবং পরে হারিসকে লেগকাটারে আউট করেন। শেষদিকে পাকিস্তানকে একাই টেনেছেন শাহীন। এরপর দেড়শর আগেই থামে পাকিস্তান।