বিবর্ণ চট্টগ্রামের ভবিষ্যৎ চিন্তায় আকরাম খান

ছবি:

আজ থেকে ঠিক ১৮ বছর আগে প্রথমবারের মতো জাতীয় ক্রিকেট লীগে খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং আইসিসি ট্রফি জয়ের নায়ক আকরাম খান। যশোরে অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে চট্টগ্রামের পক্ষে আকরাম খান খেলেছিলেন ৯০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস।
সেই আসরে তাঁর দল চট্টগ্রামও হয়েছিলো চ্যাম্পিয়ন। নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম এনসিএল শিরোপা অর্জনের কথা কি কেউ ভুলতে পারে? পারেননি আকরাম খানও। তাইতো এতগুলো বছর পরও সেই স্মৃতি আজও জ্বলজ্বলে হয়ে আছে তাঁর। আর সেই স্মৃতির কথাই বাংলা দৈনিক কালের কণ্ঠকে শুনিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই পথপ্রদর্শক।
তবে অতীব দুঃখের বিষয় এরপর একে একে ১৮টি জাতীয় লীগ অনুষ্ঠিত হলেও আর চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি চট্টগ্রাম। এবছরের এনসিএলেও যথারীতি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় স্তরে সর্বশেষ দল ছিলো চট্টগ্রাম।

অবশ্য শুধু চট্টগ্রামই নয়, দেশের ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী দল ঢাকার অবস্থাও খুব আশানুরূপ নয়। সবমিলিয়ে মাত্র ৫ বার শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুই বড় দলের এভাবে পিছিয়ে পড়াটা অবশ্যই কাম্য নয় কারো কাছে।
আকরাম খান নিজেও তাই হতাশ এই বিষয়ে। কালের কণ্ঠকে তিনি জানিয়েছেন বর্তমানে তামিম ইকবাল ছাড়া চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটার আর খুব একটা নেই। তাঁর সময়কালে যেমন দল ছিলো চট্টগ্রাম এখন একেবারেই তেমনটি নেই বলে মনে করেন আকরাম। তিনি বলেন,
'প্রথম জাতীয় লিগে আমি খেলেছি, খেলেছেন নান্নু ভাইও (মিনহাজুল আবেদীন)। একসময় তো জাতীয় দলেই খেলতেন চট্টগ্রামের চার-পাঁচজন। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে চট্টগ্রামেরই আধিপত্য ছিল। এখন শুধু তামিমই আছে।'
অবশ্য চট্টগ্রামের এরূপ বিবর্ণ অবস্থার দায়ভার এড়াতে পারছেন না আকরাম। কেননা বর্তমানে দলটির সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তবে দলটির অবস্থান দেখে নিজে বেশ হতাশ হলেও এখনই আশা হারাচ্ছেন না বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির এই চেয়ারম্যান। তাঁর ভাষ্যমতে,
'চট্টগ্রামের এই অবস্থা দেখে খুব খারাপই লাগে। তবে আমি বোর্ড পরিচালক হয়ে আসার পর কিন্তু চট্টগ্রামের ক্রিকেট নিয়ে চেষ্টাও কম করিনি। এরই ফল এখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে চট্টগ্রাম বিভাগেরই ৯ জন খেলোয়াড়। আশা করি এর সুফল নিকট ভবিষ্যতেই পাওয়া যাবে।'