আরিফুল, শুভাশিষদের তান্ডবে দ্রুতই অলআউট মোসাদ্দেকরা

ঘরোয়া
আরিফুল, শুভাশিষদের তান্ডবে দ্রুতই অলআউট মোসাদ্দেকরা
Author photo
তামজিদুর রহমান
· ১ মিনিট পড়া

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের খেলা মাঠে গড়িয়েছে বুধবার। টায়ার-১ এর ম্যাচে এদিন মুখোমুখি হয় রংপুর ও বরিশাল বিভাগ। এদিন শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৮০ রান সংগ্রহ করে বরিশাল।

এরপর দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমে আরিফুল হক, শুভাশিষ রায় এবং তানবির হায়দারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৩৩৫ রানে গুঁটিয়ে যায় বরিশাল। রংপুরের পক্ষে ৫৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করে সবথেকে সফল বোলার তানবির হায়দার। এছাড়াও ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার শুভাশিষ রায়। অপরদিকে আরিফুল হকও নিয়েছেন ৬৮ রানে ৩ উইকেট।   

এর আগে দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমে স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ২২ রান যোগ করেই নির্ভরতার প্রতীক হয়ে থাকা নুরুজ্জামানকে হারিয়ে বসে বরিশাল। ৫৮ রান করে শুভাশিষ রায়ের বলে সরাসরি বোল্ড হন তিনি। এরপর নতুন ক্রিজে আসা মনির হোসেনকে ঠিক পরের ওভারেই বোল্ড করে ফেরার আরিফুল হক।

বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি আগের দিনের অপরাজিত উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান সামসুল ইসলামও। মাত্র ৬ রান করে সেই আরিফুলের বলেই বোল্ড হন তিনিও। সামসুল ফিরে গেলে ৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে তিনশত রানের কোটা পার করান শেষ দুই ব্যাটসম্যান কামরুল ইসলাম রাব্বি এবং লিঙ্কন দে সঞ্জয়।

তবে ৩৩৫ রানের মাথায় তানবির হায়দারের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান সঞ্জয়(১৬)। এরই সাথে ৩৩৫ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।  

এর আগের দিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বরিশাল অধিনায়ক ফজলে রাব্বি। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি বরিশালের।

তারা ২১ রানেই অধিনায়ক রাব্বির উইকেটটি হারায়। এই ওপেনার মাত্র ১ রান করে শুভাশিষ রায়ের বলে নাঈম ইসলামের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।

ওয়ান ডাউনে নামা ব্যাটসম্যান সালমান হোসেনকে ধীমান ঘোষের ক্যাচ বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান শুভাশিষ। এরপর আরেক ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ ২৫ রান করে আরিফুল হকের শিকার হয়েছেন ধীমান ঘোষের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

পরবর্তীতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বরিশাল মোহাম্মদ আল-আমিনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায়। আল- আমিনের ব্যাট থেকে এসেছে দারুণ এক অর্ধশতক। ৫০ রান করে তিনি তানভীর হায়দারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন।

এরপর শুরু থেকেই মেরে খেলতে থাকা সোহাগ গাজী ৯৯ রান করে সাজেদুল ইসলামের বলে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। ফেরার আগে নুরুজ্জামানের সাথে ১৪৫ রানের অনবদ্য একটি জুটিও গড়েছিলেন গাজী।

এরপর উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শামসুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকি সময়টা দেখে শুনে পার করেন নুরুজ্জামান। দলের পক্ষে ২ রানে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান সামসুল ইসলাম এবং ৫১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। 

আরো পড়ুন: this topic