সাদমান ও মার্শালের জোড়া অর্ধশতকে বড় সংগ্রহের পথে ঢাকা মেট্রো

ছবি:

বিপিএলের আসর শেষে আজ থেকে আবারো শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলা। এদিন রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় টায়ারের ম্যাচে মার্শাল আইয়ুবের ঢাকা মেট্রোর মুখোমুখি হয় জহুরুল ইসলামের রাজশাহী।
এদিন শুরুতে টসে জিতে ঢাকা মেট্রোকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান রাজশাহীর অধিনায়ক জহুরুল। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার সাদমান ইসলাম ও অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের জোড়া অর্ধশতকে ৪ উইকেটে ২১০ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ঢাকা মেট্রো।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিলো না ঢাকার। মাত্র ১৮ রানের মাথায় ওপেনার শামসুর রহমানকে মিজানুর রহমানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে রাজশাহীর হয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন পেসার শফিউল ইসলাম।

এরপর সৈকত আলী ও সাদমান ইসলামের ৪০ রানের জুটিতে কিছুটা বিপদ কাটিয়ে ওঠে ঢাকা। তবে ৫৮ রানের সময় সৈকতকে উইকেটরক্ষক জহুরুলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন জাতীয় দলের স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
অবশ্য সৈকত ফিরলেও খুব একটা বিপদে পড়তে হয়নি মার্শাল আইয়ুবের দলটিকে। কেননা তৃতীয় উইকেটে এসে অধিনায়ক নিজেই ঢাকার ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন। সাদমানকে সাথে নিয়ে ৯৮ রানের বড় একটি জুটি গড়েন তিনি। এই জুটির মাধ্যমেই শত রানের কোটা পার হয় ঢাকা।
শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৫৬ রানের মাথায় তাইজুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ৬৭ রান করতে সক্ষম হন মার্শাল। আর অধিনায়কের ফেরার পর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি দারুণ খেলতে থাকা ওপেনার সাদমানও। ৭৫ রান করে সেই তাইজুলের বলেই আউট হতে হয়েছে তাঁকে।
এরপর অবশ্য মোহাম্মদ আশরাফুল এবং মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ব্যাটে আর কোনও উইকেট না হারিয়েই দিন শেষ করতে সক্ষম হয় ঢাকা মেট্রো। দ্বিতীয় দিন উভয় ব্যাটসম্যানই ২২ রান নিয়ে খেলতে নামবেন। আলোক স্বল্পতার কারণে প্রথম দিনের খেলা আগেভাগেই শেষ হয়েছে।