ইমরানুজ্জামানের সেঞ্চুরির দিনে ১৩৭ রানে জিতল অগ্রণী ব্যাংক

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

সন্দীপ রায় চৌধুরির ৫ উইকেটের সঙ্গে শুভাগত হোম চৌধুরি ও তাইবুর নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। তাদের এমন বোলিংয়ে মাত্র ২০৩ রানে গুটিয়ে যায় নবাগত গুলশান। শাকিল হোসেনের হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে নিহাদ উজ জামানের ৪৯ ও হাবিবুর রহমান মুন্নার ৩৯ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষের দিকে কেউ সেভাবে দাঁড়াতে না পারায় অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ১৩৭ রানে হেরেছে গুলশান।
অমিত-ইমরানুজ্জামানের জুটির সেঞ্চুরিতে অগ্রণীর জয়
১০ মার্চ ২৫
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলতে থাকে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের তিন ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছিলেন ইমরানুজ্জামান। তবে তিনটির একটিতেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ইমরানুজ্জামান ছিলেন শুরু থেকেই মারকুটে।
জীবন পেয়ে আরও বেশি আক্রমণাত্বক হয়ে উঠেন তিনি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২ ছক্কা ও ৯ চারে মাত্র ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরানুজ্জামান। তাকে দারুণভাবে সঙ্গে দিতে থাকেন অমিত হাসান। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮২ রান তোলে অগ্রণী ব্যাংক। সাবলীল ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির কাছে গেলেও ৪২ রানে ফিরতে হয় অমিতকে। বাঁহাতি স্পিনার মইনুল ইসলামের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।

তিনে নেমে সুবিধা করে উঠতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ১৫ বলে ১৩ রান করা অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ককে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন খালিদ হাসান। একটু পর আউট হয়েছেন মার্শাল আইয়ুবও। অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন খালিদ। ১৫৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন ইমরানুজ্জামান ও তাইবুর রহমান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা ইমরানুজ্জামান সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৮৩ বলে। ডিপিএলের চলতি আসরে এটি তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি।
সৌম্যর ১৫৩* রানের পর রূপগঞ্জের বিশাল জয়
২৩ এপ্রিল ২৫
একশ ছোঁয়ার পরও একই ধাঁচে রান করে যাচ্ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের উইকেটকিপার ব্যাটার। যদিও ১২৩ রান করা ইমরানুজ্জামানকে ফিরিয়েছেন নিহাদ উজ জামান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার পর পায়ে ক্র্যাম্প করায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৮ বলে ১২৩ রান করা ইমরানুজ্জামান। পরবর্তীতে তাইবুর ৬০ ও প্রিতম কুমার ৫৯ রান করেছেন। তাদের ব্যাটে ৩৪০ রানের পুঁজি পায় অগ্রণী ব্যাংক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর—
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব— ৩৪০/৭ (৫০ ওভার) (ইমরানুজ্জামান ১২৩, অমিত ৪২, তাইবুর ৬০, প্রিতম ৫৯; মইনুল ৩/৫৪)
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব— ২০৩/১০ (৪৬.৫ ওভার) (শাকিল ৫৯, নিহাদ ৪৯, হাবিবুর ৩৯; সন্দীপ ৫/৩৫, তাইবুর ২/২৯, শুভাগত ২/৪৬)