তাদের ব্যাটেই পারটেক্সের বিপক্ষে ২৯৪ রান তোলে ব্রাদার্স। ডিপিএলে টিকে থাকতে হলে তিনশর কাছাকাছি রান তাড়া করতে হতো পারটেক্সকে। ওপেনার আদিল একপ্রান্ত আগলে রেখে ৮৫ রানের ইনিংস খেললেও বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। শেষের দিকে আহরার আমিন পিয়ানের ৩৩ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ব্রাদার্সের ১১৩ রানের জয়ের দিনে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল আতিক ও অলক কাপালি। এমন জয়ে ডিপিএলের আগামী মৌসুমের জন্য টিকে গেছে ব্রাদার্স।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২৯৪ রান তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জয়রাজ শেখের উইকেট হারায় পারটেক্স। তিনে নেমে রুবেল মিয়া ৬ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন আদিল ও মোহাম্মদ রাকিব। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৫ রান। রাকিবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রাকিবুল। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৭ রান।
পারটেক্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি সাব্বির রহমান। ১৭ বলে ৬ রান করে আউট হয়েছেন রাকিবুলের বলে। একটু পর আউট হয়েছেন একপ্রান্ত আগলে রাখা আদিলও। ৪৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা পারটেক্স ওপেনারকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেছেন অলক। তিনি আউট হয়েছেন ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৭৪ বরে ৮৫ রান করে। শেষে দিকে আহরার আমিন ৩৩ রান করলে পারটেক্স অল আউট হয় ১৮১ রানে। ব্রাদার্সের হয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন রাকিবুল ও অলক।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ব্রাদার্সকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মাহফিজুল ও মাইশুকুর। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ১২০ রান। হাফ সেঞ্চুরিয়ান মাইশুকুর৫০ রানে ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। দারুণ ব্যাটিং করলেও ৯৮ রানে আউট হয়ে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে মাহফিজুলকে। পরবর্তীতে মিজানুর ৪২ ও আইচ ৪৮ রানের ইনিংস খেললে ২৯৪ রানের পুঁজি পায় তারা।