নাসিরের ফিফটির ম্যাচে হারল রূপগঞ্জ, সোহানের ৩ রানের আক্ষেপ

ছবি: নাসিরের ফিফটির ম্যাচে হারল রূপগঞ্জ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চার নম্বর মাঠে ২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের ওপেনাররা। ৫৮ রানের জুটি গড়েন আজমির আহমেদ এবং হাবিবুর রহমান। মোহাম্মদ জীবনের গুড লেংথের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৩০ বলে ৪০ রান করা আজমির। একটু পর হাবিবুর রহমানকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন নাসির।
ব্যাটে-বলে পারটেক্সের জয়ের নায়ক আহরার
১৮ ঘন্টা আগে
৭৫ রানে দুই উইকেট হারানো দলটিকে টেনে তোলেন ফাজলে রাব্বি এবং নুরুল হাসান সোহান। এই দুজন ১০৮ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকেন। নুহায়েল সান্দিদের একই ওভারে ফিরে যান ফাজলে রাব্বি এবং সানজামুল ইসলাম। নুহায়েলকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ৭৭ বলে ৪৭ রান করা রাব্বি।
সেই ওভারের শেষ বলে নুহায়েলকে লফটেড শট খেলতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েন সানজামুল। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। ১৮৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো দলটিকে আবারও কক্ষপথে ফেরান সোহান এবং ইয়াসির আলী রাব্বি। দলকে জয়ের কাছাকাছি রেখে ফিরে যান সোহান। নুহায়েলকে পুল শট খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন তিনি।

তবে ইয়াসির রাব্বির ৪০ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে জিততে অসুবিধা হয়নি ধানমন্ডির। মঈন খান পাঁচ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৭.১ ওভারে জিতে যায় ধানমন্ডি। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রূপগঞ্জ টাইগার্স। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। ১৬ রানের মধ্যে দুটি উইকেট হারায় তারা। ১৫ বলে ১০ রান করা আব্দুল মজিদকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মঈন খান। পরের ওভারে অমিত মজুমদারকে ফেরান এনামুল হক এনাম। তার ব্যাটে আসে চার রান।
প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক-কোচ ও ম্যানেজারকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা
৪ মার্চ ২৫
এরপর আসাদুল্লাহ আল গালিব এবং নাসির হোসেনের ব্যাটে এগিয়ে যায় দলটি। দুজনে মিলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন দুজনই। তবে ভাগ্য খারাপ নাসিরের। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ফিরে যান তিনি।
ফজলে রাব্বির গুড লেংথের বলে লফটেড শট খেলতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন নাসির। ফেরার আগে ৮৪ বলে ৭৭ রান করেন তিনি। দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফেরা নাসিরের ইনিংসটি সাজানো ছিল আটটি চার ও তিনটি ছক্কায়।
দলীয় ১৬০ রানে বিদায় নেন আসাদুল্লাহ আল গালিবও। ৮০ বলে ৬৫ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান সানজামুল ইসলাম। এই স্পিনারের বলে কাউ কর্নারে লফটেড শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন গালিব। দুইশ রান স্পর্শ করার আগে বিদায় নেন আল আমিন জুনিয়র এবং মোহাম্মদ ফয়সাল।
দুজনকেই প্যাভিলিয়নে ফেরান ফাজলে রাব্বি। আল আমিন ৩২ বলে ১৮ এবং ফয়সাল ১৪ বলে ১০ রানে ফিরে গেছেন। শেষদিকে আরিফুল হকের ২৮ বলে ছয় ছক্কায় ৪৮ রানের ক্যামিও এবং নুহায়েল সানদিদের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে রূপগঞ্জ টাইগার্স। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৮০ রান তোলে দলটি।