একাধিক ‘সন্দেহজনক’ ঘটনার ম্যাচে ৫ রানে জিতল গুলশান

ছবি: ১০ ওভারে ২০ রান নিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন আজিজুল হাকিম তামিম, ক্রিকফ্রেঞ্জি

ডানহাতি ব্যাটারের এমন আউট নিয়ে সন্দেহটা আরও প্রবল হয়েছে শেষের উইকেটের কাণ্ড দেখে। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জেতার জন্য শাইনপুকুরের প্রয়োজন ৭ রান। হাতে একটি উইকেট থাকলেও ম্যাচের তখনও বাকি ৭ ওভার। এমন সময় অবিশ্বাস্য এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন মিনহাজুল সাব্বির। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে অভিজ্ঞ নাইম ইসলামের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
আজিজুল হাকিমের সেঞ্চুরিতে গুলশানের জয়
১২ এপ্রিল ২৫
নাইম যখন বোলিং প্রান্তে দাঁড়িয়েছিলেন তখন উইকেটকিপার আলিফ হোসেন ইমন ডানহাতি অফ স্পিনারকে সতর্ক করে বলছিলেন, ‘নাইম ভাই, সুযোগ নিতে পারে।’ এমন সতর্কবার্তা পেয়ে নাইমও তাই খানিকটা বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করলেন। মিনহাজুলের ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার প্রবণতা দেখে অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে দিয়ে ওয়াইড দিলেন নাইম। সুযোগ পেয়ে বল দিয়ে স্টাম্পিং ভেঙে দেন উইকেটকিপার।

টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় নিজেকে বাঁচাতে বল না খেলে পপিং ক্রিজে ফেরার চেষ্টা করেন মিনহাজুল। সময় মতো ব্যাটটা পপিং ক্রিজে ফেলার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ মুহূর্তে ব্যাটটা পপিং ক্রিজের বাইরে ফেলে স্টাম্পিং হয়েছেন ৩৪ বলে ৮ রান করা মিনহাজুল। অদ্ভুতুড়ে এক আউটে জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় শাইনপুকুরের। নাইমের বলটা ওয়াইড হওয়ায় ৫ রানে হেরেছে তারা। এ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে গুলশান।
বিজয়ের সেঞ্চুরিতে লিটনদের হারাল গাজী ক্রিকেটার্স
২৫ মার্চ ২৫
জয়ের জন্য ১৭৮ রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শাইনপুকুর। রানা শেখ, ময়নুল ইসলাম তন্ময়, নিওন জামান, রায়ান রাফসান রহমান, অনিক সরকাররা ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। শাহরিয়ার সাকিব অবশ্য আশা জাগিয়েছিলেন ৫৪ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে। তবে শেষের দিকে বাকিদের কেউ ভালো করতে না পারায় ১৭৩ রানে অল আউট হয় শাইপুকুর। গুলশানের হয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন নিহাদ ও আজিজুল হাকিম।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪১ ওভারে ১৭৮ রানে অল আউট হয় গুলশান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব শাহরিয়ার। এ ছাড়া জাওয়াদ আবরার ৩৭, ফরহাদ রেজা ২২ এবং আলিফ ১৭ রান করেছেন। শাইনপুকুরের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন নিওন জামান। দুটি উইকেট পেয়েছেন রহিম।