ইনিংস লম্বা করার চেষ্টাতেই সফল নাইম

ছবি: সেঞ্চুরির পথে নাইম শেখ, ক্রিকফ্রেঞ্জি

আর তাতে ভর করে ৯ উইকেটের সহজ জয় পায় প্রাইম ব্যাংক। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ১৬০ রানের লক্ষ্য মাত্র ২০.১ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে তারা। এর আগে প্রাইম ব্যাংকের এই ব্যাটার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১২৫ বলে ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। পরের ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে করেছিলেন ৮১ রান।
১৬২.৫০ স্ট্রাইক রেটে নাইমের অপরাজিত ১০৪, জিতল প্রাইম ব্যাংক
২১ মার্চ ২৫
সেই ধারাবাহিকতাই যেন ধরে রাখলেন শাইনপুকুরের বিপক্ষে। সেঞ্চুরিতে দলকে জিতিয়ে নাইম জানিয়েছেন দুই বছরে নিজেকে আমুল বদলে ফেলেননি তিনি। আগে যে ভুলগুলো বারবার করতেন সেগুলো এখন আর বারবার হতে দেন না। আর তাতেই সফল হয়েছেন তিনি। চেষ্টা করছেন প্রতিটি ইনিংসকেই বড় করতে।

দারুণ ফর্মের রহস্য খোলাসা করে নাইম বলেন, 'দুই বছরে তেমন কোনো রহস্য নেই। চেষ্টা করছি কীভাবে ধারাবাহিকভাবে রান করা যায়। উইকেট কেমন হবে অনুমান করার জন্য, নিজের খেলাটাকে বোঝার জন্য। আগে যে ভুলগুলো করেছি সেই ভুলগুলো এখন যেন বারেবারে না করি ওখান থেকে শিখে নিজের ইনিংসগুলো যেন লম্বা করতে পারি।'
জাহিদুজ্জামানের সেঞ্চুরি ছাপিয়ে গাজীর নায়ক লেগ স্পিনার ওয়াসি
১৭ ঘন্টা আগে
সর্বশেষ বিপিএলেও ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন নাইম। ১৪ ইনিংসে প্রায় ৪৩ গড়ে করেছিলেন ৫১১ রান। ডিপিএলের গত আসরে ৪৫৯ রান করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার। নাইম এখন আগের চেয়ে অনেক পরিণত। আগে ৪০-৫০ রানের যেসব ইনিংস খেলে দ্রুত আউট হয়ে যেতেন সেগুলো বড় করার চেষ্টায় থাকেন তিনি। আর তাতেই ধরা দিচ্ছে সাফল্য।
নাইম বলেন, 'ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি ৪০-৫০ বা ৭০ রানে অনেকবার আউট হয়েছি। ওইজিনিসগুলো এখন আর মিস করি না। যেদিন সেট হয়ে যাই সেদিন উইকেট ভালো হলে ৭০-৮০ রানকে আরও বড় করতে পারব। চেষ্টা করি আরও যত লম্বা করা যায়। ১৩০-১৪০ যত বড় করা যায়। ওয়ানডেতে কোন লিমিট নেই। এই জিনিসগুলো নিজের ভেতরে পরিপূর্ণতা এনেছি।'