আইরিশদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা

ছবি:

ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম (এফটিপি) বা ভবিষ্যত সূচির ২০১৯-২০২৩ সালের নতুন খসরা তৈরি করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। খসরা অনুযায়ী টেস্ট আঙিনার নতুন মুখ আয়াল্যান্ড এই চার বছরে ১৬টি টেস্ট খেলবে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলের বিপক্ষে দুটি করে সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলবে দলটি।
তাছাড়া, দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে আয়ারল্যান্ড। গত ৭ ও ৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে আইসিসির কর্মশালায় নতুন সূচি নিয়ে পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বোর্ড একটি সভা করে। যেখানে প্রতিটি দেশের সূচি নির্ধারণ করা হয়।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে এই খসরা সূচি পাঠানো হবে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায়। সেখানে অনুমোদন হলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী জুনে আইসিসি বোর্ড সভায় পাঠানো হবে। তবে খসরা সূচিতে খুব বেশি একটা পরিবর্তন আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সদ্য টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া আয়ারল্যান্ড ১৬ টেস্টের অর্ধেক ম্যাচই খেলবে বড় দলগুলোর বিপক্ষে। ২০১৯ সালেই ইউরোপের দলটির খেলার কথা রয়েছে ক্রিকেট পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। যেখানে ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কা, ২০২১ সালে ইংল্যান্ড এবং ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি করে টেস্ট খেলবে তারা।
এছাড়া টেস্ট আঙিনায় আরেক নতুন মুখ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি ৫টি এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪টি টেস্ট খেলবে আইরিশরা। আয়ারল্যান্ড ইতোমধ্যে নিজেদের অভিষেক টেস্টের দল ঠিক করে ফেলেছে। আগামী বছরের মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামবে তারা।
ভারতের বিপক্ষে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আফগানরা ২০১৯-২০২৩ এফটিপি অনুযায়ী ১৩টি টেস্ট খেলবে। আয়ারল্যান্ড সাতটি টেস্ট খেলবে ঘরের মাঠে ও নয়টি খেলবে দেশের বাইরে। অন্যদিকে আফগানিস্তান সাতটি ঘরের মাঠে এবং ছয়টি টেস্ট দেশের বাইরে খেলবে।
এদিকে নতুন সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এই চার বছরে ৩৫টি টেস্ট খেলবে। টাইগারদের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে শুধুমাত্র ভারত (৩৭টি), ইংল্যান্ড (৪৬টি) ও অস্ট্রেলিয়াই (৪০টি)। এদিক থেকে, শ্রীলঙ্কা, উইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ???াইগারদের সৌভাগ্যবান বলতেই হয়।