গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আশরাফুল নিজেই জানিয়েছেন তাকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তার জায়গায় বুলবুলকে যোগ করার পরিকল্পনা তাদের। আশরাফুল সেই প্রস্তাবে কোনো ভাবনা চিন্তা না করেই রাজি হয়ে গেছেন। বুলবুলকে তিনি আইডল মানেন। সেই সম্মান থেকেই তিনি নিজে সরে দাঁড়িয়েছেন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আশরাফুল বলেছেন, 'আমার জায়গায় যদি উনি ইলেকশন করেন, যেহেতু উনার আবার ইলেকশন করার ইচ্ছা হয়েছে, এই বোর্ড প্রেসিডেন্ট লাস্ট তিন মাস ধরে, চার মাস ধরে কাজ করছেন বোর্ডে, সামনে যে ইলেকশনটা করবেন, তো আমার পজিশন থেকে করবেন,আমি শুনে বলছি, "খুব তাড়াতাড়ি দেন, আমার কোনো সমস্যা নাই।"'
এনএসসির এমন সিদ্ধান্তে ঢাকার বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার পরিচালক হয়ে বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথটা সুগম হলো বুলবুলের। বিসিবি সভাপতি ছাড়াও ওই অ্যাডহক কমিটিতে আছেন আরও ১০ জন। যারা সবাই আগের কমিটিতেও ছিলেন। বিভাগীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা জেলার অ্যাডহক কমিটিতেও পরিবর্তন এসেছে। আগের কমিটিতে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার জেসি। তাকে সরিয়ে সেখানে নাজমুল আবেদিনকে জায়গা দেয়া হয়েছে।
বুলবুলের কথা বলতে গিয়ে আশরাফুল আরও বলেন, 'সেই ৯৭-৯৮ থেকে যখন আমি বল বয় ছিলাম, উনাদের খেলা দেখেই বড় হয়েছি এবং উনার সাথে আমার, আমার লেভেল থ্রিটাও উনার থ্রুতেই হয়েছে। তো যেহেতু এনএসসি থেকে বলা হয়েছে যে বুলবুল ভাইকে আপনার পজিশনে দিয়ে উনি ইলেকশন করবেন, আমি খুব খুশি মনে দিয়েছি।'
বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এক সময় এক সঙ্গে খেলেছেন তারা। তামিমের জন্যও শুভকামনা জানিয়েছেন আশরাফুল। তিনি আশাবাদী তামিম বিসিবিতে এলে অনেক কাজ ক্রয়ার সুযোগ পাবেন।
আশরাফুল বলেন, 'আমাদের কলিগ তামিম ইকবালও সেখানে (বিসিবি নির্বাচন) অংশ নিচ্ছেন। তার জন্য শুভকামনা রইল। আমি আশা করছি সেও হয়তো বোর্ডে আসবেন। এসে হয়তো বড় একটা পদ নেবেন। ক্রিকেট অপারেশন্স আছে। গেম ডেভলপমেন্ট আছে এখানে তারও কাজ করার অনেক জায়গা থাকবে আমি বিশ্বাস করি।'