জয়ের জন্য ২৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইসাক ও জো মুরসের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় ইংল্যান্ড। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন মুরস। দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তাঁর। ৪৭ রানের ইনিংস খেলা মুরসকে ফিরিয়ে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আল আমিন। দ্বিতীয় উইকেটে বেন মাইসকে সঙ্গে নিয়ে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইসাক। পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও।
স্বাগতিকদের রান একশ পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের জুটি ভাঙেন সামিউন বশির রাতুল। বাঁহাতি স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন ৩০ রান করা মাইস। পরবর্তীতে উইল বেনিনসনকে নিয়ে ইংল্যান্ডকে টেনেছেন ইসাক। যদিও ওই জুটির বেশিরভাগ রানই এসেছে ইসাকের ব্যাট থেকে। বেনিনসন ও থমাস রিউকে দ্রুতই ফেরান রাতুল। তবে অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নেন ইসাক।
যদিও একশ ছোঁয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। আল ফাহাদের বলে রিফাত বেগের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে খেলেছেন ১০৪ রানের ইনিংস। শেষের দিকে ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে ইংল্যান্ডের ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন জ্যাক নেলসন। বাংলাদেশের হয়ে রাতুল তিনটি এবং ফাহাদ, আল আমিন ও ফারান শাহরিয়ার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরুর আভাস দেন জাওয়াদ আবরার ও রিফাত। তাদের দুজনের ব্যাটে ভালো শুরু পেলেও ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই ভেঙেছে ৩১ রানের উদ্বোধনী জুটি। ম্যাথু ফায়ারব্যাংকের লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়েছেন ১০ রান করা জাওয়াদ। দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য দারুণ একট জুটি গড়ে তোলেন রিফাত ও তামিম। ছন্দে থাকা রিফাত হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশের রান একশ ছুঁতেই।
যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। লামডেনের লেগ সাইডের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগ ক্যাচ দিয়েছেন রিফাত। ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫২ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। রিফাতের বিদায়ে ভাঙে ৮৩ রানের জুটি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগেই ফিরেছেন আজিজুল তামিম। ৪৪ বলে ৪১ রান করা বাংলাদেশের অধিনায়ককে ফেরান রালফি আলবার্ট।
আগের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা কালাম সিদ্দিকী অ্যালিন ফিরেছেন দ্রুতই। পরবর্তীতে রিজান ও আব্দুল্লাহ মিলে জুটি গড়ে তোলেন। বাংলাদেশের রান দুইশ হওয়ার আগেই তাদের জুটি ভাঙেন মিন্টো। বাঁহাতি পেসারের বলে আব্দুল্লাহ আউট হয়েছেন ১৭ রান করে। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন রিজান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া রিজান এবার থেমেছেন ৫৭ রানে। শেষের দিকে ফাহাদের অপরাজিত ২৫ রানের সুবাদে ৪৭ ওভারে ২৭২ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল— ২৭২/৯ (৪৭ ওভার) (রিফাত ৫১, জাওয়াদ ১০, তামিম ৪১, রিজান ৫৭, ফাহাদ ২৫*; মিন্টো ৩/৪৮, লামডেন ২/১৯)
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দল— ২৭৩/৬ (৪৩.১ ওভার) (মুরস ৪৭, ইসাক ১০৪, মাইস ৩০, নেলসন ৩৫*; রাতুল ৩/৩৫)