৩ বছরের জন্য সাইমন টাফেলকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি

ছবি: আম্পায়ারিংয়ের সময় সাইমন টাফেল

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত বাংলাদেশের আম্পায়ারদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমনকি বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন বাংলাদেশি আম্পায়াররা। এবার আম্পায়ারদের দক্ষতা বাড়াতে টাফেলের ওপর ভরসা রাখতে চলেছে বিসিবি। তাঁর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
কোচ হয়ে আবারো বিসিবিতে হান্নান
১৫ জুন ২৫
এ প্রসঙ্গে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা আইসিসির সাবেক এলিট আম্পায়ার সাইমন টাফেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সে নানান দেশের আম্পায়ারদের উন্নতি করতে কাজ করে। এমনকি সে আইসিসির সঙ্গেও কাজ করে। তাঁর সঙ্গে আমরা ৪-৫ মাস—অনেকদিন ধরেই কথা বলছিলাম, এটা এখন অনুমোদন দেয়া হয়েছে বোর্ডে।... সাইমন টাফেলের সঙ্গে আমাদের ৩ বছরের চুক্তি। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে কাজ করা হবে। এটা নিয়ে আমরা ১০-১৫ জন আম্পায়ার ট্রেনার তৈরি করব যারা সারাদেশে আম্পায়ারদের উন্নতিতে কাজ করবে। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সে না, উনার প্রতিনিধি দল আসবেন এবং পুরো প্রোগ্রামটা করবেন। তবে উনি আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবেন। উনার সঙ্গে আমাদের তিন বছরের চুক্তি। তবে এখনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। সে নিজেও এটার মধ্যে আছেন। এখন কোন প্রক্রিয়ায় কাজ হবে সেটা আসলে আপনাদের সামনে নিয়ে আসব এবং আপনারা প্রশ্ন করতে পারবেন। ’

খেলোয়াড় হিসেবে টাফেল খুব বেশি বড় নাম না হলেও আম্পায়ার হিসেবে সর্বাধিক সমাদৃত তিনি। ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন টাফেল। এর মধ্যে বিশ্বকাপ-অ্যাশেজ থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অনেক টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করেছেন তিনি।
নিউ সাউথ ওয়েলসে জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটার পেসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তবে চোটের কারণে ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে পারননি তিনি। এরপর আম্পায়ারিংকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন তিনি। ১৯৯৫ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং দিয়ে শুরু তার নতুন ক্যারিয়ার।
১৯৯৯ সালে তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন এবং ২০০০ সালে টেস্টও আম্পায়ারিংয়ের সুযোগ পেয়ে যান। দক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার কারণে ২০০৩ সালে আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন সাবেক এই অজি ক্রিকেটার। এর পরের প্রায় এক দশক তিনি ছিলেন বিশ্বের সেরা আম্পায়ারদের একজন।
বিশেষ করে ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচবার তিনি আইসিসির আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন — যা এখনো এক অনন্য রেকর্ড। টাফেল মোট ৭৪টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারিং করেছেন। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তিনি আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন। পরবর্তীতে তিনি আইসিসির আম্পায়ার কোচ হিসেবে কাজ করেছেন।