ডিপিএল শেষে মুখ খুললেন হৃদয়

ছবি: তামিম ইকবালের সঙ্গে তাওহীদ হৃদয়, ক্রিকফ্রেঞ্জি

অলিখিত ফাইনালে মোহামেডানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে আবাহনী। এই ম্যাচের পর নিষেধাজ্ঞা ও সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাবলী নিয়ে মুখ খুলেছেন হৃদয়। জানিয়েছেন মাঠের বাইরেও মোহামেডানকে লড়াই করতে হয়েছে। যা অন্য কোনো দলকে করতে হয়নি। তবে সবকিছু বিস্তারিত জানাননি তিনি।
১৩ বছরে ৯ শিরোপা জিতেছি, ডেডিকেশন ছিল আবাহনীতেই খেলার: মোসাদ্দেক
৬ ঘন্টা আগে
হৃদয় ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'এবারের প্রিমিয়ার লীগে ২২ গজের বাহিরেও এক প্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেলো মোহামেডানে স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতোটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতোটা মোহামেডান করেছে। প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষ আমাদের কখনো জানার সুযোগ হয়না। তাই ঢালাওভাবে সবটা না জেনেই আমরা কিছু করে বসি বা বলে ফেলি। একদম শুরু থেকে যদি সবটাই বলতে পারতাম তবে কাহিনী হতো ভিন্ন, যেটা বলতে পারছি না, কেনো পারছি না তা নাহয় পরেই বলবো!'

হৃদয় আরও যোগ করেন, 'নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়, বড়-ছোট সবাই ভুল করে, পরিবারের অপর মানুষটা যেনো ছোট বা অপমানিত না হয় সেজন্য নিজেকেও অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়, আবার সহ্য করতে হয়ঃ- হোক সেটা অপমান কিংবা ভালোবাসা। এগুলো মিলেই জীবন। আপাতত এটাই বুঝিয়েছি নিজেকে।'
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে হারিয়ে আবাহনীর ২৫ এ ‘২৪’
১২ ঘন্টা আগে
তামিম ইকবালের অবর্তমানে হৃদয়ের কাঁধেই নেতৃত্বভার বুঝিয়ে দিয়েছিল মোহামেডান। দলটিকে বেশ ভালোই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। নিষধাজ্ঞায় পড়ার পরও তাকে খেলাতে সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে হৃদয় লিখেছেন, 'মোহামেডানের কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি ম্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার জন্য যে চেষ্টা করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ প্লেয়ার, শ্রদ্ধেয় কোচ, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালোবাসা।'
ডিপিএলের সুপার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আউট হওয়ার পর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন হৃদয়। এরপর তাঁকে শুনানিতে ডাকা হলেও আসেননি। এরপর লেভেল-১ অপরাধের জন্য হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানার সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেয়া হয়। ফলে আগের ৭ পয়েন্টের সঙ্গে সেই পয়েন্ট যোগ হওয়ায় চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন হৃদয়। এ কারণেই আবাহনীর বিপক্ষে খেলা হয়নি তার।