হৃদয়ের আবার শাস্তি হাস্যকর, বলেছেন তামিম

ছবি: সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল

আগে থেকেই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞার ঘটনার সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) একটি ম্যাচ খেলার সময় হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তামিম। এরপর সুস্থ হয়ে উঠলেও তামিম কবে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি। তামিম না থাকায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পান তাওহীদ হৃদয়।
৩ মাস পর ক্রিকেটে ফিরবেন তামিম
২ ঘন্টা আগে
এদিন তামিমসহ দেশের বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। দীর্ঘ বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তামিম। জানিয়েছেন একই অপরাধের জন্য হৃদয়কে আবার নিষিদ্ধ করা হাস্যকর ব্যাপার। তারা এই ব্যাপারটিই বুঝিয়েছেন বিসিবি সভাপতিকে।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'প্রথমে যখন দুটি ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তখন কেউ কোনো কথা বলেনি। এরপর এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া হয়। এরপর আবার দুই ম্যাচ খেলার পর আবার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। হৃদয়ের ব্যাপারটা কোনো সেন্সই মেক করে না দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে উঠিয়ে নেয়া। আবার নিষিদ্ধ করা ব্যাপারটা হাস্যকর।'

হৃদয়ের শাস্তি আরেক দফা পাল্টাল বিসিবি
২ ঘন্টা আগে
তামিম আরও যোগ করেন, 'মোহামেডান থেকে প্রেশার দিয়ে খেলানো হয়েছে কী হয়নি এটা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ বিসিবি তাকে খেলার অনুমতি দিয়েছে কিনা। যদি বিসিবি অনুমতি দেয় তাহলে সে শাস্তি ভোগ করেছে। যে ছেলে তার শাস্তি ভোগ করে সে একই অপরাধের জন্য আবার কীভাবে শাস্তি পেতে পারে। এই বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা বুঝিয়েছি আমরা কী ফিল করি। তারাও তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন। পরবর্তীতে ডিপিএল কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণভাবে বাইলজ পরিবর্তন করে হৃদয়ের শাস্তি এক ম্যাচে কমিয়ে আনে। তবে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় লিগের টেকনিক্যাল কমিটি তা বাতিল করে। ফলে তাওহীদ হৃদয় আবারও এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হচ্ছেন।
গত ১২ এপ্রিল মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পারভেজ হোসেন ইমন ও মোহাম্মদ মিঠুনের বিপক্ষে আউটের আবেদন করেছিলেন মোহামেডানের ফিল্ডাররা। আউট না দিলে দুই অনফিল্ড আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ও তানভীর আহমেদের সঙ্গে তর্ক জড়ান হৃদয়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হৃদয়ের নামের পাশে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করা হয়। ফলে এক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি হৃদয়কে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর আম্পায়ারের সমালোচনার কারণে তাকে আরও এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার দেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকার কথা ছিলো তার। কিন্তু এক ম্যাচ পরই গত ২০ এপ্রিল অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে মোহামেডানের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় হৃদয়কে।