বিপিএলের মান উন্নয়ন নিয়ে রাজিন-নাফিস-আশরাফুলদের সঙ্গে বিসিবির বৈঠক

ছবি: সাবেক অধিনায়কদের সঙ্গে ফারুক আহমেদের বৈঠক, ক্রিকফ্রেঞ্জি

শেষবারের বিপিএল ছিল অনিয়মে ভরপুর। সঠিক সময়ে ক্রিকেটারদের বেতন পাওয়া, ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটারের অভাব থেকে শুরু করে বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে সময় পার করে বিসিবি।
‘নাবিক’ মুশফিককে বিদায়ী সংবর্ধনা দেবে বিসিবি
৮ মার্চ ২৫
এনসিএল অবশ্য বেশ সফলতার সঙ্গেই শেষ করে বিসিবি। তবে চারদিনের এনসিএলের সময়সূচি কিছুটা বিতর্কিত। বৃষ্টির মৌসুম এড়িয়ে কীভাবে এনসিএল আয়োজন করা যায় সেটা নিয়েও সাবেক অধিনায়কদের পরামর্শ নেন ফারুক।
এই ব্যাপারে শাহরিয়ার নাফিস বলেন, 'মাননীয় বোর্ড সভাপতি বিগত বা বর্তমান সুয়ে বাংলাদেশ দলে যারা অধিনায়কত্ব করেছেন তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। শুভেচ্ছা বিনিময় এবং মত বিনিময় একটা সভা ছিল। এখানে বিপিএল বা অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। বোর্ড সভাপতি অধিনায়কদের সাথে বিপিএল বা এসব টুর্নামেন্ট কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, আকর্ষণীয় করা যায় সেটা নিয়ে কথা বলেছেন। অধিনায়করাও এই ব্যাপারে সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করেছেন। আলোচনা ফলপ্রসু ছিল।'

একই ব্যাপারে আরেক সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ বলেন, 'আমাদের কথা ছিল বিপিএল কীভাবে আরও ডেভেলপ করা যায়, সূচিটা কীভাবে আপডেট করা যায়। এনসিএল টি-টোয়েন্টি কখন শুরু করলে আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারব টুর্নামেন্টটা। বিপিএলে আগামীতে যেন আরও ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি আসে, ভালো টুর্নামেন্ট কীভাবে হবে, ভালো বিদেশি ক্রিকেটাররা আসবে, কখন তাদের পাব, ওসব নিয়ে কথা বলা হয়েছে।"'
বিসিবি সভাপতির এই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা, রকিবুল হাসান, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার, রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার নাফীস, আকরাম খান, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ আশরাফুল, খালেদ মাহমুদ সুজন, মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল আর লিটন দাস।
সাকিব আল হাসান দেশে নেই। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং নাইমুর রহমান দুর্জয়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রিত অতিথিদের সকলেই অবশ্য উপস্থিত হতে পারেননি। এই ব্যাপারে বিসিবিকে জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফীস, মুমিনুল হক আর লিটন দাস।