তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বিনা উইকেটে ৫২ রান তুলে কাজটা এগিয়েই রেখেছিলেন অমিত মজুমদার ও সৌম্য সরকার। অমিত না পারলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসের মতো হাফ সেঞ্চুরি পেলেন দ্বিতীয় ইনিংসেরও। সৌম্যর ৭১ রানের ইনিংস খেলোর দিনে ৭ চার ও এক ছক্কায় শেখ মেহেদী করেছেন ৪৯ বলে অপরাজিত ৫০ রান। অফ স্পিনার নাঈম হাসানের ৫ উইকেটের পরও চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয় পেয়েছে খুলনা বিভাগ। প্রথম তিন রাউন্ডে খুলনার এটি দ্বিতীয় জয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রানের বড় জয় পেয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচটি গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। শেষ পর্যন্ত ১ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ক্যারিবিয়ানরা। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের স্পিনারদের তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১৭ রানে গুঁড়িয়ে গেছে। আর তাতেই ১৭৯ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও আইসিসির নতুন র্যাঙ্কিং হালনাগাদে কিছুটা স্বস্তির জায়গা তৈরি করেছেন বাংলাদেশের কয়েকজন বোলার। পেসার তানজিম হাসান সাকিব ২৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৬৭ নম্বরে, আর বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম ২৭ ধাপ অগ্রসর হয়ে ঢুকেছেন সেরা একশ’তে। তার অবস্থান ৯৭তম।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে তাই দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। এমন ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের নাটকীয় জয় পেতে দারুণ অবদান রেখেছেন তানভির ইসলাম।
ইনিংসের ৩৯তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে আসেন তানভির ইসলাম। তার করা তৃতীয় বলটি ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মাহিশ থিকশানা। তবে বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় মিড উইকেটের দিকে। সেখানে সহজ ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার রিশাদ হোসেন। আর তাতেই ৫ উইকেট পেয়ে যান বাংলাদেশের এই স্পিনার।