promotional_ad

নির্বাচকদের ধুয়ে দিলেন ফারুক

promotional_ad
মাঠের ক্রিকেটে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হারের পর লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট ও টি২০ সিরিজে হেরেছে টাইগাররা। চলতি ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজেও ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল হেরেছে বড় ব্যবধানে।

টাইগারদের এমন বাজে পারফরমেন্সের কারণ হিসেবে দল নির্বাচনকে দুষছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক নির্বাচক ও অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। নির্বাচকরা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে না পারাতে দলটি থিতু হতে পারছে না বলে মনে করেন তিনি। নান্নু-বাশারদের নির্বাচক কমিটির যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই সাবেক ক্রিকেটার।

ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ‘নির্বাচকদের স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রথমেই ঠিক করতে হবে, কাকে নির্বাচক বানাবেন। তার যোগ্যতা কতটুকু আছে। আর সে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কি না। বোর্ডের হাতেই সব ক্ষমতা। বোর্ড নির্বাচকদের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্বাধীনতা দিয়ে দেখতে পারে। যদি এর মধ্যে ভালো ফল না আসে, তাহলে তো সেই নির্বাচক কমিটি ভেঙে দেওয়ার সব ক্ষমতা বিসিবির আছে। আমি তো মনে করি এখনকার নির্বাচকদের ক্ষমতা খুবই কম। তারা স্বাধীনভাবে তো কাজ করতেই পারে না, তাদের যোগ্যতা নিয়েও কথা হতে পারে।’

দল নির্বাচনে এখন কোনো জবাবদিহিতা নেই বলেও ধারণা তার, ‘আমাদের আবার আগের জায়গায় ফিরে যাওয়া উচিত। আগে যেমন নির্বাচক কমিটি দিয়ে কাজ হতো, ঠিক তেমনই। কমিটি থাকলে জবাবদিহির ব্যাপার থাকে। এখন কোনো নির্বাচককে যদি দল নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করেন, সে কিন্তু বলতে পারবে না।’

একসময় জাতীয় দলের প্রধাণ নির্বাচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক। বছর দেড়েক আগে দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বচকের দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বেড়িয়ে আসেন তিনি। ফারুক এখন মনে করছেন আগে যা করেছেন ভালোই করেছেন তিনি।

ফারুক আহমেদের ভাষ্যমতে, ‘আমি জানতাম এমন কিছুই হবে। সে কারণে দেড় বছর আগে প্রধান নির্বাচকের পদ ছেড়ে দিয়েছিলাম। দল যখন ভালো করে, তখন অনেক কিছুই চোখে পড়ে না। দল যদি খারাপ করে, তখন সমস্যাগুলো সামনে চলে আসে। যদি নির্বাচক অনেক থাকে, তাহলে সমস্যা হবেই। তখন একজন বলবে, অমুককে নিলে ভালো হতো, আরেকজন বলবে, তাকে নাও। আসলে এমন পরিস্থিতিতে কে সিদ্ধান্তটা নিল, সেটা বোঝা যায় না। এখন আমরা দেখি, ম্যাচ শুরুর আগের দিন খেলোয়াড় ঢোকানো হচ্ছে। এটা নির্বাচকেরা কতটুকু জানেন, আমরা জানি না। পত্রিকায় পড়েছি, আসলে তাঁরা এসবের কিছুই নাকি জানেন না।’

সঠিকভাবে দল নির্বাচনের পথও বাতলে দিয়েছেন এই সাবেক ক্রিকেটার, ‘যেকোনো ভালো কাজ আসলে এমনি এমনি হয় না। এর পেছনে একটা প্রক্রিয়া থাকে। এই প্রক্রিয়াটা থেকে বোধ হয় আমরা বেশ দূরে সরে এসেছি। এই জিনিসটা ঠিক করা দরকার। এই যেমন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে ৩২ জন খেলোয়াড়কে ডাকা হয়েছে। তিন সংস্করণ মিলে খেলেছে ২৮ জন। এতে খেলোয়াড়েরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। দলটাকে থিতু করতে হবে। ২৮ জন খেলোয়াড়কে তিন সংস্করণে খেলানোর কোনো যুক্তিই নেই। ঠিক করতে হবে আমরা কোন খেলোয়াড়কে কোথায় খেলাতে চাই। দল নির্বাচনে ইদানীং খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে।’



promotional_ad




আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball