১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো কাউন্টিতে ম্যাচ পরিচালনা করেন বার্ড। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করেছেন ইয়র্কশায়ারের বার্নসলেতে জন্ম নেওয়া বর্ষীয়ান এই আম্পায়ার। এ সময় ৬৬টি টেস্ট ও ৬৯টি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনা করেন তিনি। তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনা করার কীর্তিও আছে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল এই আম্পায়ারের।
আম্পায়ারিংয়ে এক বর্ণাঢ্য জীবন কাটালেও ইংল্যান্ডের হয়ে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি বার্ড। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার ও লেস্টারশায়ারের হয়ে খেলেছেন তিনি। করেছেন ৯৩ ম্যাচে ৩৩১৪ রান। ইনজুরির কারণে মাত্র ৩২ বছর বয়সেই খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টানতে হয় বার্ডকে। খেলোয়াড় হিসাবে অবসর নেয়ার পর কিছু দিন কোচ হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে ইয়র্কশায়ার ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন বার্ড।
বার্ডের মৃত্যুতে তাই শোকের ছায়া নেমে আসে ইয়র্কশায়ারের ক্রিকেটাঙ্গনে। এক শোকবার্তায় ইয়র্কশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব জানায়, 'ডিকি বার্ড শুধু একজন আম্পায়ার নন, তিনি ছিলেন ক্রিকেটের এক অনন্য চরিত্র। তার সততা, রসাত্মবোধ আর খেলাধুলার প্রতি নিবেদন তাঁকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। ইয়র্কশায়ার পরিবারের সকলেই তাকে গভীরভাবে স্মরণ করবে।'
বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সফল আম্পায়ার হিসাবে বিবেচিত হলেও ছোটবেলায় বার্ডের প্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। স্বপ্ন দেখতেন পেশাদার ফুটবলার হওয়ার। চোটের জন্য ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন সফল হয়নি তার। ফুটবল ছাড়ার পর বার্ড তাই আঁকড়ে ধরেন ক্রিকেটকে।
তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য ছাড়াই নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতেন ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন আম্পায়ার।আম্পায়ার হিসাবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে পারতেন তিনি। মাঠে খেলা পরিচালনার মাঝে নানা রসিকতা করতেন ইংলিশ এই আম্পায়ার। তবে ক্রিকেটের নিয়মের ব্যাপারে তিনি ছিলেন কড়া ধাঁচের।