কে কে আছেন বিপিএলের ফ্লপ একাদশে?

ছবি:

বিপিএলের পঞ্চম আসরে দেশি বিদেশি পারফর্মেন্স বিবেচনা করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিপিএলের সেরা একাদশ গঠন করা হচ্ছে। আসর জুড়ে গেইল, মাশরাফি, সাকিব, তামিম ছাড়াও তরুন রনি, রাহি পারফর্মেন্স ক্রিকেট প্রেমীদের নজর কেড়েছে।
এর বাইরের অনেক তারকা ক্রিকেটারের প্রতি অনেক প্রত্যাশা থাকলেও নিজদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। বিপিএলে ব্যর্থ ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রথম আলো তৈরি করেছে বিপিএলের ‘ফ্লপ’ একাদশ।
এক নজরে দেখে আসা যাক কে কে আছে প্রথম আলোর ফ্লপ’ একাদশে।
সৌম্য সরকারঃ চলতি বছরে জাতীয় দলের হজয়ে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। তবে বিপিএলে চিটাগংয়ের জার্সিতে সৌম্যকে একদম অচেনা মনে হয়েছে। ১১ ইনিংসে ওপেনিংয়ে ব্যাট করে মাত্র ১৬৯ রান এসেছে জাতীয় দলের এই ওপেনারের ব্যাট থেক। আসর জুড়ে কোন ফিফটির দেখা পায়নি তিনি।
রনি তালুকদারঃ জাতীয় লীগের পারফর্মেন্স ভালো ছিল রনি তালুকদারের। বিপিএলের শুরুটাও ভালো হয়েছিল তার। কিন্তু রাজশাহীর হয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। আট ম্যাচে টপ অর্ডারে ব্যাট করে মাত্র ১২৩ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।

জস বাটলারঃ ইংলিশম্যান জস বাটলারকে দলে নিয়ে বেশ খরচা করতে হয়েছে কুমিল্লাকে। দল ভালো করলেও ব্যক্তিগতভাবে প্রথমবারের মত বিপিএল খেলতে আসা বাটলার এবারের মৌসুম ভুলে যেতে চাইবে। ১৪ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৮ গড়ে ২২৫ রান করেছেন তিনি, ফিফটি একটি।
মুশফিকুর রহিমঃ দক্ষিণ আফ্রিকার ফর্ম বিপিএলে ধরে রাখতে পারেনি সাবেক টেস্ট কাপ্তান মুশফিক। কিংসদের হয়ে মিডেল অর্ডারে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভালো সূচনা পেয়েছিলেন, কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১৮.৫০ গড়ে ১১ ইনিংসে মাত্র ১৮৫ এসেছে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের ব্যাট থেকে।
মিসবাহ উল হক (অধিনায়ক): চিটাগংয়ের হয়ে অধিনায়কত্ব করা মিসবাহর পরিসংখ্যান দেখলে ফ্লপ একাদশের অংশ গণ্য করা কঠিন হবে। চার ম্যাচে দুটি অপরাজিত ইনিংসে ৮৩ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং গড় চল্লিশের উপরে। কিন্তু মিসবাহর ইনিংস গুলো টি-টুয়েন্টির সাথে মানানসই নয়। আসর জুড়ে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ওয়ানডে সুলভ।
জেমস ফ্রাঙ্কলিনঃ পর পর দুই আসর রাজশাহীর হয়ে খেলেছেন ফ্রাঙ্কলিন। গত আসরের শেষে এসে কিংসদের ফাইনালে পৌঁছে দেয়ায় অবদান রাখলেও এবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। ১১ ম্যাচে ১১২.৪২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১১৮ রান করেছেন তিনি। খরুচে বোলিংয়ে দলের উপকারে আসেন নি তিনি।
লুইস রিসঃ ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার ভাইকিংসের হয়ে নিজেকে চেনাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ রিস ৮ ম্যাচে রান করেছেন ১৪১। বোলিংয়ে কিছুতা হলেও কার্যকর ছিলেন তিনি। স্লোয়ার বল আর ইয়র্কারে পটু এই বাঁহাতি পেসার সাত উইকেট নিয়েছেন।
তানবীর হায়দারঃ চিটাগংয়ের হয়ে খেলা তানবির বিপিএলের আগে 'এ' দলেরর হয়ে ভালোই ফর্মে ছিলেন। কিন্তু বিপিএলে এসে উইকেটের দেখা পান নি তিনি। দশ ম্যাচ খেলে তিন উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
লাসিথ মালিঙ্গাঃ রংপুরের হয়ে খেলা এই চাম্পিয়ন পেসার তার স্বর্ণযুগ পেছনে ফেলে এসেছেন। এবারের বিপিএলে তার পারফর্মেন্স সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। নয়ের কাছাকাছি ইকনমিতে আট ম্যাচ খেলে আট উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা।
শুভাশিস রায়ঃ জাতীয় দলের পেসারদের মধ্যে বেশিরভাগই বিপিএলে ভালো সময় কাটিয়েছে। শুভাশিসের ক্ষেত্রে বিষয়টি ব্যতিক্রম। মাশরাফির সাথে বিবাদে জড়িয়ে কঠিন সমালোচনার মুখে পড়া এই পেসার ভাইকিংসদের হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন, শিকার করেছেন মাত্র চার উইকেট।