লিটন অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে: থিসারা
ছবি: থিসারা পেরেরা হাত মেলাচ্ছেন খুলনার ক্রিকেটারদের সঙ্গে, ক্রিকফ্রেঞ্জি
তারা ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। বিপিএলে প্রতি ম্যাচেই ব্যর্থ হচ্ছে ঢাকার ওপেনিং জুটি। লিটনের সঙ্গে ফর্মে নেই তানজিদ হাসান তামিমও। ফলে সব মিলিয়ে বিপিএলের শুরুতেই চিন্তায় পড়ে গেছে তারকাবহুল দলটি। অবশ্য ঢাকার অধিনায়ক থিসারা আশাবাদী অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবেন লিটন।
সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, 'লিটন খুবই ভালো প্লেয়ার। প্রত্যেক প্লেয়ারেরই ব্যর্থতা থাকে। আমারও অনেক হতাশার সময় কেটেছে। আপনারও থাকবে। জীবনে এটা হয়েই থাকে। এটা আসলে সময়ের হাতে। প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে শক্তিশালী হয়ে ফিরতে হবে। আমি মনে করি লিটন টাচে নেই। কিন্তু অবশ্যই সে আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। অবশ্যই সে ঘুরে দাঁড়াবে।'
৪১ রানে ঢাকার ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল বড় হারের দিকেই এগোচ্ছে দলটি। তবে স্বদেশি সতীর্থ চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে নিয়ে যেন নতুন করে লড়াই শুরু করেন অধিনায়ক থিসারা। ম্যাচ জেতাতে না পারলেও আর একটি উইকেটও হারাতে দেননি দলটিকে। দুজনে ১১২ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন।
৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা থিসারা ৬০ বলে ১০৩ রানে অপরাজিত থাকেন। এই জুটিতে চতুরাঙ্গার অবদান মাত্র ২০ বলে ১১! থিসারা জানিয়েছেন এই উইকেটে ব্যাটিং সহজ ছিল না। তবে কিছু বল খেলার পর বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
থিসারা বলেন, 'প্রথমত এই উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। স্পিনাররা খুব ভালো সুবিধা পাচ্ছিলো। আমি নিজেও খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছিলাম। প্রথম ১৭-২০ বলে আমার ৬ রান ছিল। এই পিচে আপনি যদি ৩০-৪০ বল খেলে ফেলেন তাহলে খেলাটা সহজ হয়ে যায়। এটা দুঃখজনক যে আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। পাওয়ার প্লেতে আমরা মোমেন্টামটা ধরতে পারিনি। নাহলে এই লক্ষ্য তাড়া করা সহজ হত।'
চতুরাঙ্গার সঙ্গে আলোচনা নিয়ে থিসারা আরও বলেছেন, 'আমি তাকে বলেছিলাম যে আমাকে যেন প্রতিবার সুযোগ দেয়। সে ভালোভাবেই সেটা করেছে। অনেকবার সে হিট করতে চেয়েছে। কিন্তু এরপর আমি তাকে বুঝিয়েছি। ভালো জিনিস হচ্ছে সে আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমি উইকেটে সেট ছিলাম। তাই আমি মারতে চেয়েছিলাম। সে খুব ভালো করেছে। আমরা জাতীয় দলে একসঙ্গে খেলেছি। অনেক বছর আমরা একসঙ্গে খেলেছি। তাই আমি যা বলেছি সে বুঝতে পেরেছে।'