নাটকীয় ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ বাংলাদেশ

Cricket
নাটকীয় ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ বাংলাদেশ
সংগৃহীত
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
অনূর্ধ্ব- ১৯ এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে লড়াই জমিয়েও মাত্র ৭ রানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশের যুবাদের। আগের দুই ম্যাচ জেতায় পরের রাউন্ডে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তবে তা গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিলো জুনিয়র টাইগারদের হাতে।

শ্রীলংকার দেয়া ২২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৫২ রানে। ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউটে কাঁটা পড়েন টাইগার ওপেনার জাওয়াদ আবরার।

এরপর আরেক ওপেনার কালাম সিদ্দিকি অ্যালেন দলের হাল ধরেন। শুরু থেকেই দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন বাংলাদেশকে। যদিও আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানোর নায়ক, দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ফিরে যান হতাশ করেই।

ভিহাস থিউমিকার বলে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন তিনি। ফেরার আগে ১৮ বল খেলে করেন মাত্র ৮ রান। অ্যালেনকে সঙ্গ দিতে পারেননি আরেক মিডল অর্ডার ব্যাটার মোহাম্মদ শিহাব জেমসও। জাওয়াদ আবরারের মতো ব্যাক্তিগত ৬ রান করে তিনিও কাটা পড়েন রান আউটে। 

দলীয় ৮৪ এবং ৯৮ রানে পর পর দুই উইকেট তুলে নিয়ে মোমেন্টাম খুঁজে পায় লংকান যুবারা। এরপর বিপদ সামলে উঠে টাইগার যুবারা। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটার দেবাশীষ সরকারকে নিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেন অ্যালেন। সচল রাখেন বাংলাদেশের রানের চাকা।

একই সাথে তিনি পৌঁছে যান নিজের সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি তার। ব্যাক্তিগত ৯৫ রানে থিওমিকার বলে রাজিথকুমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। মিস হয় সেঞ্চুরি, একই সাথে কালো মেঘ জমতে শুরু করে বাংলাদেশের ইনিংসে। 

সেই মেঘ আরো গাঢ় হয় একই ওভারে রিজান হোসেন আউট হয়ে গেলে। অ্যালেনের পর ব্যাট করতে নেমে দলের কিংবা নিজের নামের পাশে কোন রান যোগ করার আগেই ফিরতে হয়েছে রিজেনকে। হঠাতই যেন ম্যাচের চালকের আসন থেকে ছিটকে যায় জুনিয়র টাইগাররা

এক ওভারের ব্যবধানে বেশ ভালো মতোই ম্যাচে কামব্যাক করে শ্রীলংকা। তখনো ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল আরো ৫৭ রান। হাতে ছিল আর মাত্র চার উইকেট। সেট ব্যাটার দেবাশীষ তখনো মাঠে থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি কাজ করভছিলো বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু সেটাও ভেস্তে যায় দলীয় ১৭৮ এবং ব্যাক্তিগত ৩১ রানে দেবাশীষ ফিরে গেলে।

ম্যাচ জয়ের আশা ততক্ষণে ফিকে হয়ে যায় বাংলাদেশের। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার ফারিদ হাসান। অপরাজিত ছিলেন ২৯ বলে ২৪ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৭ রানের কষ্টার্জিত জয় পায় শ্রীলংকা।

এরআগে বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে মোহাম্মদ আল ফাহাদ একাই নেন চারটি উইকেট। তিনটি উইকেট নেন রিজান হোসেন। আর একটি করে উইকেট পান ইমন ও রাফিউজ্জামান। লঙ্কানদের হয়ে এই ম্যাচে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ভিমাথ দিনসারা। তার ১০৬ রানের ইনিংসে ভর করেই চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে লঙ্কান যুবারা। 

আরো পড়ুন: যুব এশিয়া কাপ