‘আপনারা আমাকে না নিলে খুবই দুঃখ পাব’, কলকাতাকে বলেছিলেন ভেঙ্কটেশ
ছবি: সংগৃহীত
গত আসরে কলকাতার শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছিলেন ভেঙ্কটেশ। এ ছাড়া যারা অবদান রেখেছিলেন তাদের সবাইকে আগেই রিটেইন করে কলকাতা। দলটির মূল অংশকে ধরে রাখা ছিল তাদের পরিকল্পনা। নিলামের আগেই আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, রিঙ্কু সিং, হার্শিত রানা, বরুন চক্রবর্তি ও রমনদিপ সিংকে ধরে রাখে তারা।
মাইশোর বলেন, 'আমাদের জন্য ব্যাপারটি ছিল, দলের মূল ক্রিকেটারদের ধরে রাখার চেষ্টা করা। আগের দলের ছয়জনকে এবার নিলাম আমরা ধরে রেখেছি, এরপর নিলাম থেকে পেয়েছি আরও দুই-তিনজনকে। আমাদের ভাবনা সবসময় এরকমই ছিল। তার (ভেঙ্কাটেশ) ক্ষেত্রে ব্যাপারটি হলো, অবশ্যই আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়তে চাইনি যে, তাকে ফিরিয়ে আনতে পারব না।'
'এই ক্রিকেটাররা মাঠে কী করতে পারে, তা প্রমাণিত। আমাদের শিরোপা জয়ের বছরে (গত আসরে) এবং যেবার ফাইনাল খেললাম (২০২১), তার (ভেঙ্কাটেশ) পারফরম্যান্স ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং দলে দুর্দান্ত এক ছেলে সে। আমাদেরকে সে চূড়ান্ত একটি বার্তা জানিয়ে রেখেছিল যে, ‘আপনারা আমাকে না নিলে খুবই দুঃখ পাব আমি।’ আমরা তাকে দুঃখ পেতে দিতে চাইনি এবং আমরা নিজেরাও খুব খুশি তাকে পেয়ে।'
আইপিএল ক্যারিয়ারের চারটি মৌসুমই কলকাতার জার্সি গায়ে খেলেছেন ভেঙ্কটেশ। গত আসরে ৪৬.২৫ গড় ও ১৫৮.৭৯ স্ট্রাইক রেটে ৩৭০ রান করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে রানার্স আপ হওয়ার আসরেও তিনি করেছিলেন ঠিত ৩৭০ রানই। কলকাতার ভালো পারফরম্যান্সে বরাবরই অবদান থাকে তার।
দলে সুযোগ পেয়ে ভেঙ্কটেশ বলেন, 'সত্যি বলতে, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তবে কেকেআর দলের অংশ হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। কেকেআর কোচ (চান্দ্রাকান্ত পান্ডিত) আমার মধ্য প্রদেশ দলেও কোচ। তার সঙ্গে কথা বলছিলাম যে, কেকেআরে ফিরতে পারব কি না, এটা নিয়ে কতটা নার্ভাস আমি।'
'ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে এটা একটা বার্তা যে, চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী দলটার প্রতি তাদের মনোযোগ কতটাএবং ক্রিকেটারদের উন্নতি কীভাবে করতে চায় এবং ক্রিকেটারদের কতটা মূল্য তারা দেয়। আবার কেকেআর দলে থাকতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত এবং খুবই খুশি যে, এতটা আস্থা তারা আমার ওপর রেখেছে।'