নেপালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশের যুবারা
ছবি: সংগৃহীত
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অন্য ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে আফগানিস্তান হেরে যাওয়ায় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৪২ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন কালাম সিদ্দিকী অ্যালিন। পেসার হেমান্থ ধামির বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরেছেন তরুণ এই ওপেনার। প্রথম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা কালাম এবার ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। তবে দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন জাওয়াদ ও তামিম।
পাওয়ার প্লেতে আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান তোলে বাংলাদেশ। তাদের দুজনের ৯০ রানের জুটি ভেঙেছে জাওয়াদের বিদায়ে। লেগ স্পিনার যুবরাজ খাত্রির বলে অভিষেকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫৯ রানে ফিরেছেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। চারে নেমে পরের বলে আউট হয়েছেন শিহাব জেমস। হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি হলেও যুবরাজকে সেটা থেকে বঞ্চিত করেছেন ফরিদ হাসান ফয়সাল। এক ওভারে ২ উইকেট হারানোর পর তামিমের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন ফরিদ।
যদিও তারই বিদায়ে ভেঙেছে বাংলাদেশের অধিনায়কের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি। যুবরাজের বলে বোল্ড হয়েছেন ১৩ রান করা ফরিদ। রিজান আউট হয়েছেন পরের বলে রানের খাতা খোলার আগেই। ২০তম ওভারের মতো এবারের হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন যুবরাজ। নেপালের তরুণ লেগ স্পিনারের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের জয়ে। পরের ওভারে ৮ রান নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন তামিম। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা তামিম এবার অপরাজিত ছিলেন ৫২ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে এক প্রান্তে আকাশ টিকে থাকলেও মায়ান যাদব, অর্জুন কুমাল, নারিন ভাট্টা, সান্তোষ যাদবরা আউট হয়েছেন নিয়মিত বিরতিতে। হাফ সেঞ্চুরি মিস করে ওপেনার আকাশ আউট হয়েছেন ৪৩ রানে। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৯৩ রানে ৭ উইকেট হারায় নেপাল। তবে অভিষেক ও উত্তমের ২৯ রানের ইনিংসে ১৪১ রানের পুঁজি পায় তারা। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহাদ, রিজান ও ইকবাল হাসান।