promotional_ad

ক্রিকেট থেকে ধাওয়ানের অবসর

promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


একটা সময় রোহিত শর্মার সঙ্গে নিয়মিত জুটি গড়া শিখর ধাওয়ান ক্যারিয়ারের সেরা সময় ফেলে এসেছেন আগেই। ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সবশেষ কয়েক বছরে একেবারেই অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন ভারতের জার্সিতে। শুভমান গিল, ইশান কিশানদের ভিড়ে জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া বাঁহাতি ওপেনার নিজের সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, বাংলাদেশের বিপক্ষে।


দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ভারতের দলে না থাকা ধাওয়ান এবার আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন। ২৪ আগষ্ট সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। ভারতের হয়ে খেলার প্রশান্তি নিয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়ে খুশি ধাওয়ান। জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চান বাঁহাতি এই ওপেনার।


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে ধাওয়ান বলেন, ‘জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পৃষ্ঠা উল্টানো গুরুত্বপূর্ণ। এবং তাই আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আমি অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। ভারতের হয়ে আমি লম্বা সময় খেলার শান্তি নিয়ে আমি চলে যাচ্ছি। আমি নিজেকে বলতাম তুমি ভারতের হয়ে আর খেলতে পারবে না বলে এটা নিয়ে মন খারাপ করো না। কিন্তু খুশি হও যে তুমি দেশের হয়ে খেলেছো।’



promotional_ad

ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর সময়টাতেই সাফল্যের দেখা পেয়েছিলেন ধাওয়ান। ২০০৭-০৮ মৌসুমে উত্তর প্রদেশকে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফি জিতেছিল দিল্লি। সেই দলের সদস্য ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এর আগে ২০০৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদচারণা করেন ধাওয়ান।


বাঁহাতি ওপেনার ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে নিজের সেরা সময় পার করেছেন ২০১৩ সালে। সেই বছর ৫০.৫২ গড় ও ৯৭.৮৯ স্ট্রাইক রেটে ওয়ানডেতে ১ হাজার ১৬২ রান করেছিলেন। যার মাঝে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই সেঞ্চুরিতে ৫ ইনিংসে ৩৮৩রান করেছিলেন। সেই টুর্নামেন্টে উত্থান হয়েছিল ধাওয়ান-রোহিত জুটির। রানের বিবেচনায় তাদের জুটিতে ওয়ানডেতে চতুর্থ সেরা এবং শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলির পর দ্বিতীয় সেরা জুটি।


২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকে ভারতের ওয়ানডে দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠেন ধাওয়ান। ২০১৪ এশিয়া কাপ, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং ২০১৮ এশিয়া কাপ মিলে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম সেরাদের একজন হয়ে ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটার।


চল্লিশের বেশি গড় ও নব্বইয়ের বেশি স্ট্রাইক রেটে ওয়ানডে ৫ হাজার রান করেছেন মাত্র ৮ জন ব্যাটার। তাদেরই একজন ছিলেন ধাওয়ান। এই তালিকায় তিনি ছাড়াও ভারতের রোহিত ও বিরাট কোহলি আছেন। সব মিলিয়ে ভারতের হয়ে ১৬৭ ওয়ানডে খেলা এই ব্যাটার ৪৪.১১ গড়ে ৬ হাজার ৭৯৩ রান করেছেন। ৩৯ হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে ধাওয়ানের সেঞ্চুরি আছে ১৭টি। ক্রিকেটের অন্য দুই সংস্করণে অবশ্য নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি।



মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৫ বলে সেঞ্চুরি করে সাদা পোশাকের ক্রিকেট শুরু করেছিলেন ধাওয়ান। টেস্টে অভিষেকে দ্রুততম সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার সেদিন ভারতকে জেতাতে খেলেছিলেন ১৮৭ রানের। তবে ৩৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে ধাওয়ান ৪০.৬১ গড়ে করেছেন ২ হাজার ৩১৫ রান। ৭ সেঞ্চুরি করা ৩৮ বছর বয়সী এই ওপেনারের হাফ সেঞ্চুরি আছে ৫টি। টি-টোয়েন্টিতে তুলনামূলক ভালো করেছেন তিনি।


৬৮ টি-টোয়েন্টিতে ১১ হাফ সেঞ্চুরিতে ১ হাজার ৭৫৯ রান করেছেন ধাওয়ান। সবশেষ ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। তবে নিজের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন সবশেষ এপ্রিলে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে। আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের পাশাপাশি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাবের হয়ে খেলেছেন। ২২১ ইনিংসে ৬ হাজার ৭৬৯ রান করেছেন ধাওয়ান। তার চেয়ে বেশি রান আছে কেবল কোহলির।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball