আফগানিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ • শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম, আবুধাবি

Afghanistan-Bangladesh Series
AFG
293/9 (50 over)
BAN
82/8 (23 over)
Afghanistan opt to bat

বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার ঠিক যেন এর বিপরীত প্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। টানা দুই ওয়ানডে হেরে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে টাইগাররা। এবার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই রহমত শাহ

রহমত শাহ এই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন। আগের ম্যাচে ব্যাট করার সময় তিনি বাম পায়ের পেশিতে টান পেয়েছিলেন এবং এর ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তার। তিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন একমাত্র টেস্ট ম্যাচটিও মিস করবেন।

শেষ ম্যাচে টসে হারলেন মিরাজ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। আগের দুইবার অন্তত একটি করে ম‍্যাচ জিততে পেরেছিল তারা। এবারও শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ শেষ করতে চাইবে টাইগাররা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। এরই মধ্যে এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়েছে। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদি। ফলে এই ম্যাচে আগে বোলিং করতে নামবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের একাদশে চারটি পরিবর্তন

বাংলাদেশের একাদশে চারটি পরিবর্তন। একাদশে ফিরেছেন নাইম শেখ, শামীম পাটোয়ারি, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম, জাকের আলী, তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান।


বাংলাদেশ একাদশ-


সাইফ হাসান, নাজমুুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, নাইম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।

আফগানিস্তানের উড়ন্ত সূচনা, উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ

রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান মিলে এদিন আফগানিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। ৭ ওভারেই তারা পঞ্চাশ রান তুলে নেয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ ও তানভির ইসলামকে দিয়ে বল করালেও কোনো সাফল্য পায়নি।

১৬তম ওভারে প্রথম সাফল্য পেল বাংলাদেশ

প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। ১২তম ওভারে উইকেট তুলে নেয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইব্রাহীম জাদরান ডিপ মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন। তবে সেই ক্যাচ নিতে পারেননি শামীম পাটোয়ারি। ১৬তম ওভারে গিয়ে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ৪৪ বলে ৪২ রান করা গুরবাজকে এলবিডব্লিউ করে আউট করে তানভির ইসলাম। এরপর অবশ্য রিভিউ নিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে রিভিউতে দেখা যায় বল সোজা আঘাত করেছে প্যাডে এবং বল স্টাম্প লাইনের মধ্যেই ছিল। ফলে ফিরে যেতে হয় গুরবাজকে।

বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন সাইফ

সেদিকউল্লাহ অতলকে নিজের প্রথম বলেই কট এন্ড বোল্ড করে জুটি ভেঙেছেন সাইফ হাসান। ৪৭ বলে ২৯ রান করে আউট হয়েছেন এই আফগান ব্যাটার। । দ্বিতীয় উইকেটে সেদিকউল্লাহ অতল ও ইব্রাহীম গড়েন ৭৪ রানের জুটি। এই জুটি ভেঙেই বাংলাদেশকে আশার আলো দেখান সাইফ।

শূন্য রানে সাইফের ২ উইকেট

নিজের দ্বিতীয় ওভার খেলতে এসে সাইফ আউট করেছেন ১০ বলে ২ রান করা শহীদিকে। আফগান অধিনায়ক সাইফের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন তাহীদ হৃদয়ের হাতে স্কয়ার লেগে। সেদিকউল্লাহকে ফেরানোর ওভারে কোনো রানই দেননি সাইফ। এরপর দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আফগান ব্যাটারদের আবারও পরীক্ষার মুখে ফেলেন বাংলাদেশের এই স্পিনার। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করেন সাইফ।

৪ রানে সাইফের ৩ উইকেট

আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ৯৫ রান করে আউট হয়েছেন ইব্রাহীম। তিনি রান আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তানভির ইসলামের বল ফাইন লেগে পাঠিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন ইব্রাহীম। দৌড় শুরু করেও রান সম্ভব নয় বুঝতে পেরে থেমে যান ইকরাম আলিখিল। ফেরার চেষ্টায় ডাইভ দিয়েও সফল হননি আফগান এই ওপেনার। নাহিদের সরাসরি থ্রোতে আউট হয়ে ফিরতে হয় ইব্রাহীমকে। এরপর সাইফ আউট করেছেন ইকরামকে। তিনি ১৩ বলে ২ রান করে ফেরেন সাইফের বলে বোল্ড হয়ে।

ওমরজাইকে বোল্ড করলেন তানভির

তানভির ইসলাম বোল্ড করে ফিরিয়েছেন ২১ বলে ২০ রান করা আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। দারুণ এক ডেলিভারিতে আফগান অলরাউন্ডারকে বোল্ড করে দিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ড্রাইভ করতে গিয়ে বলের নাগাল পাননি ওমারজাই। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্টাম্পে। ফলে ফিরে যেতে হয় তাকে।

মিরাজ ফেরালেন রশিদকে

উইকেটে এসেই তানভিরকে ডিপ এক্সট্রা কাভার দিয়ে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রশিদ খান। তবে সেই ঝড়ো শুরু ধরে রাখতে পারেননি তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন ৬ বলে ৮ রান করা রশিদ। ফলে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানরা।

নবির ঝড়ে আফগানদের বিশাল সংগ্রহ

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। তৃতীয় ওয়ানডেতেও লড়াকু সংগ্রহ গড়েছে দলটি। এ দিনও ৯৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন ইব্রাহীম জাদরান। সঙ্গে রহমানউল্লাহ গুরবাজও খেলেন অসাধারণ এক ইনিংস। শেষদিকে মোহাম্মদ নবির ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান তোলে আফগানরা। বাংলাদেশের হয়ে সাইফ হাসান মাত্র ছয় রান খরচায় নেন তিন উইকেট।


শেষদিকে নবির ঝড়ে বড় সংগ্রহ করে আফগানরা। মেহেদী মিরাজের করা ৪৯তম ওভারে নবির তিনটি ছক্কায় ২৫ রান নেয় আফগানরা। আর হাসান মাহমুদের করা ইনিংসের শেষ ওভারে নবি হাঁকান তিনটি চার ও একটি ছক্কা। এই ওভারে আসে ৪৯ রান। ৩৭ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় অপরাজিত ৬২ রান করেন নবি।


লক্ষ্য তাড়ায় সতর্ক নাইম, রান বাড়াচ্ছেন সাইফ

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সতর্ক শুরু করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার নাইম শেখ। আরেক ওপেনার সাইফ হোসেন অবশ্য রান বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। পাঁচ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২১ রান তুলেছে বাংলাদেশ।

ত্রিশের কম স্ট্রাইক রেটে খেলে নাইমের বিদায়

সাইফ হাসান- নাইম শেখের ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ তোলে ৩৫ রান। নবম ওভারে এই জুটি ভাঙেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার অফ স্টাম্প তাক করা লাফিয়ে ওঠা শর্ট বলে ডাউন দ্যা গ্রাউন্ডে হাঁকাতে গিয়ে নবিকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন নাইম। ২৪ বলে সাত রানের ইনিংস খেলেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ছিল ত্রিশেরও কম (২৯.১৬)।


দশ ওভার শেষে বাংলাদেশ তোলে এক উইকেটে ৪১ রান।

১৬ বল খেলে বোল্ড শান্ত

নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নেন বিলাল সামি। তার অ্যারাউন্ড দ্যা উইকেট থেকে ধেয়ে আসা বলে কাট করতে গিয়ে স্টাম্প হারান নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৬ বলে তিন রান করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৪.৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ স্পর্শ করল বাংলাদেশ।


নেতৃত্ব ছাড়ার পর থেকে ব্যাট হাতে শান্তর অফ ফর্ম চলমান থাকলো।

রশিদের প্রথম বলেই বোল্ড হৃদয়

১৬তম ওভারে বল হাতে নেন রশিদ খান। তার প্রথম বলেই বোল্ড হন হৃদয়। তার গুড লেংথের গুগলিটি পেছনের পায়ে ভর দিয়ে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন হৃদয়। ১২ বলে সাত রান আসে তার ব্যাটে। ৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

চার বলের ব্যবধানে বাংলাদেশের তিন উইকেট নেই

আগের ওভারে জীবন পেয়েছিলেন সাইফ। রশিদ খানের গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেছেন এই ওপেনার। পা বাড়িয়ে অবশ্য ডিফেন্স করেছিলেন তিনি। যদিও গুগলি বুঝতে না পারায় বোল্ড হন তিনি। ৫৪ বলে তিন ছক্কা আর দুটি চারে ৪৩ রান আসে সাইফের ব্যাটে।


দুই ওভার মিলিয়ে চার বলের মধ‍্যে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। বিলাল সামির ওভারের প্রথম দুই বলে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং শামীম হোসেন। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মিরাজ। ৯ বলে বাংলাদেশের অধিনায়ক করেন ছয় রান।


পরের বলে আয়েসীভাবে ফিরতে গিয়ে নাঙ্গোলিয়া খারোতের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে গেলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। এক বল খেলে শূন‍্য রানে বিদায় নেন তিনি। ২০ ওভারে বাংলাদেশ করে ছয় উইকেটে ৭৪ রান।

আফগানদের কাছে ২০০ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

সিরিজে টানা তিন ম্যাচ জিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল আফগানিস্তান। তৃতীয় ওয়ানডেতে হাশমতউল্লাহ শহীদির দল জিতেছে ২০০ রানের বড় ব্যবধানে। এ দিন ২৭.১ ওভারে মাত্র ৯৩ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ। সাইফ হাসানের ৪২ রানের ইনিংসটি ছাড়া আর কিছুই ছিল না উল্লেখ করার মতো। আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান নেন তিন উইকেট। বিলাল সামি নেন পাঁচ উইকেট।