যে পাঁচটি কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে পারে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক
যে পাঁচটি কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে পারে বাংলাদেশ
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া

বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফর্মেন্সের উন্নতি চোখে পরার মত। বিশেষ করে ঘরের মাঠে নিজেদেরকে দারুনভাবে ক্রিকেট বিশ্বের কাছে মেলে ধরেছে মাশরাফী-সাকিবরা। 

তবে টেস্ট এবং টি-টুয়েন্টির তুলনায় ওয়ানডেতে বেশী সফল টাইগাররা। গেল বছর দুর্দান্ত পারফর্ম করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে মাশরাফীর নেতৃত্বাধীন দলটি।

২০১৪ সালের শেষে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে এই জয়যাত্রা শুরু করে লাল-সবুজের দলটি। আর প্রায় সাড়ে তিন বছর পর নিজেদের পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল।

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ গ্রায়াম ক্রিমারের জিম্বাবুয়ে। আর তৃতীয় দল হিসেবে সিরিজে অংশ নিচ্ছে হাথুরুসিংহের শ্রীলংকা। এই সিরিজে যেকোন মূল্যে জিততে চায় মাশরাফীর দল তা বলাই বাহুল্য। 

ঘরের মাঠে খেলা থাকায় সফরকারী দু'দলের থেকে সিরিজে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি সম্প্রতি সময়ে পারফর্মেন্সের দিক থেকেও এগিয়ে থাকছে বাংলাদেশ দল। চ যে ৫টি কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে পারে বাংলাদেশ ক্রিকফ্রেঞ্জির বিশ্লেষণে তা উঠে এসেছে। পড়ুন সেই ৫টি কারণ- 

১। নতুনরা পারফর্ম করতে আগ্রহীঃ

ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দল থেকে প্রথম বারের মত বাদ পড়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ এবং ওপেনার সৌম্য সরকার। তাদের পরিবর্তে তিন বছর পরে জাতীয় দলে জাতীয় দলে ফিরেছেন উইকেট রক্ষক আনামুল হক বিজয়। 

বিজয়ের পাশাপাশি আবুল হাসান রাজু এবং আরেক উইকেট রক্ষক মোহাম্মদ মিথুনকেও সুযোগ দিয়েছেন নির্বাচকরা। দীর্ঘদিন পর সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা চাইবেন নিজেদের সেরাটা দিয়ে দলে আবারো নিজেদের জায়গাটা পাকাপোক্ত করে তুলতে। 

এছাড়াও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়লেও সাব্বির রহমান আছেন স্কোয়াডে। তিনিও চাইবেন নিজেকে সবার সামনে প্রমাণ করতে। সানজামুল ইসলাম এবং তরুন সাইফউদ্দিনের পারফর্মেন্স দিয়ে ম্যাচের মোড় পাল্টে দিতে পারেন। তাই জাতীয় দলে ফিরে আসা ক্রিকেটার এবং তরুণ ক্রিকেটাররাই হতে পারেন বাংলাদেশের প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের নায়ক।

২। বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর সিরিজঃ

এই ত্রিদেশীয় সিরিজের পারফর্মেন্স দিয়েই টাইগাররা চাইবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে নিজেদের ব্যর্থতা ভুলতে। ২০১৭ সালে ভালো সময় পার করলেও বছরের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ফরম্যাটেই হোয়াইট ওয়াশ হয় বাংলাদেশ দল। 

গেল বছরের শেষটা ভালো না হলেও আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজটি জিতেই নতুন বছরের শুরু করতে চাইবে টাইগাররা। যেকারণে নিজেদের সেরাটা দিয়েই সিরিজ জয়ের মিশন নিয়ে মাঠে নামবে মাশরাফীর দল। 

৩। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বরাবরই উজ্জ্বলঃ

গেল বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে বাজে সময় পার করেছে শ্রীলংকা। ২৯টি ওয়ানডের মধ্যে ২৩টিতেই হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ম্যাথিউস-চান্দিমালদের। আর জিম্বাবুয়ে গেল বছরে ১২ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে।

আর আফগানদের কাছে সিরিজও হারতে হয়েছে ক্রিমারের দলকে। অন্যদিকে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবেছিল লঙ্কানরা।  ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশ নেয়া বাকি দুই দলের পারফর্মেন্সের তুলনায় অনেকখানি এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। 

ঘরের মাঠে নিজেদের ৬টি সিরিজের ৫টিতেই জিতেছে তারা। আর ঘরের মাঠে সবার কাছেই বাংলাদেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। যেকারণে সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স এবং স্বাগতিক দল হওয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে এগিয়ে থাকছে টাইগাররা। 

৪। সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে হবেঃ

বাংলাদেশ দলের পঞ্চপাণ্ডব তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং মাশরাফী বিন মর্তোজা এই পাঁচ জনের পারফর্মেন্সের উপরেই মুলত নির্ভর করে ত্রিদেশীয় সিরিজে কেমন করবে বাংলাদেশ।

এই পাঁচ কান্ডারি ভালো খেললেই প্রথম বারের মত ত্রিদেশীয় সিরিজ জিততে বেশী কষ্ট করতে হবে না টাইগারদের। সিনিয়র ক্রিকেটাররা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলে জুনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য পারফর্ম করা সহজ হয়ে যাবে। 

৫। টাইগার ক্রিকেটারদের ক্রিকেটে ধারাবাহিকতাঃ

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হতাশ হয়ে ফিরলেও ক্রিকেটের মাঝেই ছিলেন জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার। এনসিল, বিপিএল এবং বিসিএল দিয়ে নিজেদের ঝালাই করে নিয়েই ত্রিদেশীয় সিরিজে মাঠে নামছেন সাকিব-মুশফিকরা। 

এছাড়াও মিরপুরে সব ক্রিকেট ম্যাচ হওয়ার কারণে এখানকার পিচ সম্পর্কেও ধারণা আছে তাদের। ধারাবাহিক ক্রিকেটের মধ্যে থাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো করতে সহজ হবে জাতীয় দলে থাকা ক্রিকেটারদের।

আরো পড়ুন: this topic