রাওয়ালপিন্ডিতে জয়ের জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের পঞ্চম বলেই পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এনগারাভার ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে-বলে টাইমিং করতে পারেননি নিশাঙ্কা। মিড উইকেটে গ্রায়েম ক্রেমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় রানের খাতা খোলার আগেই। দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়েছেন কুশল পেরেরা।
টিনোটেন্ডা মাপোসার ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় টপ এজ হয়ে এনগারাভাকে ক্যাচ দিয়েছেন ৪ রানে। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট হারানোয় পাওয়ার প্লেতে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই রান আউটে কাটা পড়ে লঙ্কানদের বিপদ বাড়িয়ে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। পরের ওভারে আউট হয়েছেন কয়েক মাস পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা ভানুকা রাজাপাকশে।
ব্যাট হাতে সুবিধা করে উঠতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৩৪ রান করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক দাসুন শানাকা। জিম্বাবুয়ের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৯৫ রানে অল আউট হয় লঙ্কানরা। দুর্দান্ত এক জয়ের দিনে জিম্বাবুয়ের হয়ে ইভান্স তিনটি এবং এনগারাভা দুইটি উইকেট নিয়েছেন।
একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাপোসা, রাজা, বার্ল ও ক্রেমার। পেসার এনগারাভার পর জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেট নিয়েছেন রাজা। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ নবির পর তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দুই হাজার ও একশ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছেন বেনেট। সবশেষ তিন ইনিংসেই চল্লিশোর্ধ্ব রান করেছেন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার। এ ছাড়া অধিনায়ক রাজার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ রান। ১১ বলে ১৮ রান করেছেন বার্ল। শ্রীলঙ্কার হয়ে হাসারাঙ্গা তিনটি এবং এসান মালিঙ্গা নিয়েছেন দুইটি উইকেট।