তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল আউট হয়ে গেছে মাত্র ৯৩ রানে। কলকাতার উইকেটের অসমান বাউন্ড-টার্ন সামলাতেই পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। তবে এক্ষেত্রে ভারতের ব্যাটারদের কোনো দোষ দেখছেন না পূজারা। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
জিও স্টারকে চেতেশ্বর পূজারা বলেন, 'ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় হারলে হয়তো মানা যেত। কিন্তু এই দলে যথেষ্ট প্রতিভা আছে। জয়সাওয়াল, কেএল রাহুল, শুভমান গিল… এমনকি ওয়াশিংটন সুন্দরও এই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করেছে—তাদের সবারই ফার্স্ট-ক্লাস রেকর্ড দুর্দান্ত। তারপরও ঘরের মাঠে হারা মানে কোথাও না কোথাও সমস্যা আছে।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'এই ম্যাচটা ভালো উইকেটে হলে ভারতের জেতার সম্ভাবনা অনেক বেশি ছিল। টেস্ট ক্রিকেট কাকে বলে? কোন ধরনের উইকেটে আপনার জয়ের সম্ভাবনা বেশি? এমন ট্র্যাকে খেলা হলে দুই দল সমান হয়ে যায়। ভারতে এমন প্রতিভার ভাণ্ডার যে ভারত ‘এ’ দলও সহজেই সাউথ আফ্রিকাকে হারাতে পারে। তাই এটাকে ট্রানজিশনের দোষ দেওয়া যায় না।'
ম্যাচজুড়ে যেখানে ইনিংস সর্বোচ্চ ছিল ১৮৯ রান এবং হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুই দলের মিলিয়ে মাত্র একজন ব্যাটার। ভারত এর আগেও স্পিন বান্ধব উইকেটে খেলেছে। ঘরের মাঠে এমন উইকেটেই খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে গত বছর ৩-০ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারত। এবার তারা আবারও এমন উইকেট বানিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে।
ব্যাটসম্যানদের পাশে দাঁড়িয়ে পূজারা বলেন, 'এমন উইকেটে ব্যাটসম্যানদের উপর দোষ চাপানো যায় না। যদি সত্যিই এমন উইকেটে খেলতে চান, ব্যাটারদের প্রস্তুতিও ভিন্ন হতে হবে। গৌতি ভাই বলেছেন তাঁরা এমন উইকেটই চেয়েছিলেন—কিন্তু ব্যাট করা মোটেই সহজ ছিল না। দুই দলেরই মাত্র একজন ব্যাটার ফিফটি করেছে—এটাই বলে দেয় উইকেটটা ভালো ছিল না।'
ব্যাটারদের পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, 'এমন ট্র্যাকে খেলতে হলে ব্যাটারদের আলাদা ধরনের শট খেলতে হবে—বেশি সুইপ, আরও ইতিবাচক খেলা, স্কোরবোর্ড এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু ব্যাটারদের ধারণা ছিল উইকেটে স্বাভাবিক টার্ন থাকবে, রান করা যাবে। বাস্তবে উইকেটটা মোটেও সেইরকম ছিল না। যদি ভারত এমন উইকেটই চায় যেখানে বল প্রথম দিন থেকেই ঘুরবে, তাহলে ব্যাটারদের মানসিকতা বদলাতে হবে।'