পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজা এবং কোচের দায়িত্বে থাকা ওয়াকার ইউনিস ও মিসবাহ–উল–হকের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল আমিরের। যার ফলে ২০২০ সালের শেষের দিকে টিম ম্যানেজমেন্টের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে অবসর নেন বাঁহাতি এই পেসার। যদিও সবার চাওয়াতে ২০২৪ সালে অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ড ও বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন ৩৩ বছর বয়সি সাবেক এই পেসার।
সেই সময় ১২ টি-টোয়েন্টি খেলে নিয়েছেন ১২ উইকেট। তবে বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে স্কোয়াডে সুযোগ না পেয়ে একই বছরের ডিসেম্বরে অবসর নেন আমির। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের হয়ে ৬২ টি-টোয়েন্টিতে ৭১ উইকেট নিয়েছেন। ৩৬ টেস্ট ১১৯ এবং ৬১ ওয়ানডেতে ৯১ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। অবসর নেয়ার পর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলে বেড়াচ্ছেন তিনি। সবশেষ কয়েকদিনে গুঞ্জন উঠেছে আবারও ফিরতে পারেন পাকিস্তানের এই পেসার।
যদিও এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আমির বলেন, ‘সবশেষ ২-৩ দিন ধরে আমি শুনছি আমির কামব্যাক করছে এবং অবসর ভেঙে ফিরছে। আমার সঙ্গে ফেরা কিংবা অবসর ভাঙা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি এ ধরনের কোনো পরিকল্পনাও নেই। অবসর নিয়ে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। যদিও পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে প্রত্যাশিত ক্রিকেট খেলতে পারেনি তারা। আমির অবশ্য বিশ্বাস করেন, তরুণরা ধারাবাহিকভাবে খেলতে পারলে ২-৩ বছরের মধ্যে পাকিস্তান ভালো একটি দল হবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগামী আসর। বাঁহাতি পেসারের আশা, পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে এবং জিতবে।
আমির বলেন, ‘দলে এখন অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে। যদি তরুণ ধারাবাহিকভাবে খেলে তাহলে ২-৩ বছরের মধ্যে শক্তিশালী পাকিস্তান দল তৈরি হবে। আশা করি, বিশ্বকাপের জন্য দল ভালোভাবে প্রস্তুত আছে। আমরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছি। এখন আশা করছি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলব এবং জিতব।’