মূল দল থেকে বাদ পড়লেও চুক্তিতে জায়গা ধরে রেখেছেন শাই হোপ, আলজারি জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুড়াকেশ মোতি ও জেইডেন সিলসের মতো নিয়মিত পারফর্মাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্তমান পারফরম্যান্স, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং দলের সামগ্রিক গঠন বিবেচনায় নিয়েই এই তালিকা তৈরি করেছে বোর্ড।
সিডব্লিউআইয়ের ক্রিকেট পরিচালক মাইলস বাসকম্ব বলেন, 'বর্তমান পারফরম্যান্স ও দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বড় বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতির বৃহত্তর কৌশলের দিকেও গভীর মনোযোগ রাখা হয়েছে।'
পুরুষদের ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ের ‘স্টার্টার’ চুক্তিতে রয়েছেন তিন ক্রিকেটার। এ ছাড়া ১৫ জন খেলোয়াড়কে রাখা হয়েছে অ্যাকাডেমি চুক্তিতে। মেয়েদের কেন্দ্রীয় চুক্তি পেয়েছেন ১৩ জন, স্টার্টার পর্যায়ে রয়েছেন আরও ২ জন। মেয়েদের অ্যাকাডেমিতে যুক্ত করা হয়েছে ১৪ জনকে।
দুই দলেই পারফরম্যান্সে ভাটার টান চলছে। নারী দল জায়গা পায়নি চলমান আইসিসি উইমেনস ওয়ানডে বিশ্বকাপে। পুরুষ দল জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়। ওই সিরিজের শেষ ইনিংসে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয় তারা যা টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে বোর্ড জরুরি বৈঠকে বসে। এরপর আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারে তারা। গেল মাসের শেষ দিকে নেপালের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় ক্যারিবীয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুরুষ ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি ২০২৫-২৬- অ্যালিক আথানেজ, কেসি কার্টি, রেস্টন চেইজ, জাস্টিন গ্রেভস, শেই হোপ, আকিল হোসেন, আলজারি জোসেফ, শামার জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুড়াকেশ মোতি, রভম্যান পাওয়েল, শেরফান রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলস, রোমারিও শেফার্ড, জোমেল ওয়ারিক্যান।