আর্শদিপের করা সুপার ওভারে দুই রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম বলে কুশল পেরেরা ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। এরপর শানাকা ফিরে যান পঞ্চম বলে। মাঝে কেবল দুই রান ওঠে লঙ্কান স্কোরকার্ডে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার করা ওভারের প্রথম বলে অনায়সেই তিন রান নিয়ে দল জেতান সূর্যকুমার যাদব।
যদিও ম্যাচটির ফাইনালে ওঠা-না ওঠার কোনো গুরুত্ব নেই, তবু ভারত নিজেদের সামর্থ্য দেখায় ব্যাট হাতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই স্কোরটিই এবারের টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় রান। শ্রীলঙ্কাও সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ায় এশিয়া কাপের দুই দলই গড়ল দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
এর আগে ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন প্রথম বলেই ডাক মারা এই ওপেনার। এরপর নিশাঙ্কা এবং কুশল পেরেরা ১২৭ রানের জুটি গড়েন। ম্যাচের সুর শ্রীলঙ্কার দিকে তখনই বেঁধে দেন এই দুই ব্যাটার।
বরুণ চক্রবর্তীর বলে ৩২ বলে ৫৮ রান করে স্টাম্পিং হন পেরেরা। তারপর অল্প সময়ের মধ্যে চারিথ আসালঙ্কা (৫) এবং কামিন্দু মেন্ডিসও (৩) ফিরে যান। তারপরও পথ হারায়নি শ্রীলঙ্কা। ১৮ ওভারের মধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন নিশাঙ্কা।
কিন্তু ২০ ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান তিনি। সেই ওভারে দলের জয়ের জন্য লাগত ছয় বলে ১২ রান। হার্শিত রানার বলে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েন নিশাঙ্কা। ফেরার আগে ৫৮ বলে সাতটি চার ও ছয়টি ছক্কায় করেন ১০৭ রান।
পরের বলে দুই রান নেন জানিথ লিয়ানাগে। এরপরের বলে নেন একটি বাই রান। চতুর্থ বলে শানাকা আবার দুই রান নেন। পঞ্চম বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে চার মারেন শানাকা। শেষ বলে দুই রান নিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নিয়ে যান শানাকা। ১১ বলে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন শানাকা।
এর আগে প্রথম ইনিংসে শুভমান গিলকে ফিরিয়ে ভালো সূচনা এনে দেন লঙ্কান বোলার মাহিশ থিকসানা। তিন বলে চার রান করা গিল দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান কট এন্ড বোল্ড হয়ে। এরপর অভিষেক শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব দলের রানে গতি আনেন।
৫৯ রানের এই জুটি ভাঙেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এলবিডব্লিউর শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে ১২ রান করেন সূর্যকুমার। একটু পর ৩১ বলে ৬১ রান করে আউট হন অভিষেক। আসরে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার চারিথ আসালঙ্কার বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন।
ভারতের ইনিংস বয়ে নিয়ে যান তিলক ভার্মা ৩৪ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। পাঁচে নামা সাঞ্জু স্যামসন করেন ২৩ বলে ৩৯ রান। ২১ রান নিয়ে তিলকের সঙ্গী হিসেবে থাকেন অক্ষর প্যাটেল। হার্দিক পান্ডিয়া মাত্র ২ রানে আউট হলেও দলীয় স্কোরে বড় প্রভাব ফেলেননি।