তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে খুব বেশি প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পায়নি সফরকারীরা। তিন ঘণ্টার একটা সেশন করেই বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে তাদের। ডাচ ব্যাটাররা যে সিলেটের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি সেটা স্পষ্ট দেখা গেছে প্রথম ম্যাচে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর চেষ্টা করলেও ম্যাক্স ও’ডাউড টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। একটু পর ফিরেছেন বিক্রমজিৎ সিংও।
মাঝে স্কট এডওয়ার্ডস ও তেজা নিদামানুরু মিলে জুটি গড়ে দলকে নেয়ার চেষ্টা করলেও সেটা বড় হতে দেননি সাইফ। তবে পুরো ম্যাচে ডাচদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারের ৪ উইকেটে নেদারল্যান্ডস থামে ১৩৬ রানে। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৩৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। ক্রোস জানান, ব্যাটিংয়ে তারা যেই পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলেন সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেননি।
ক্রোস বলেন, ‘ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা একটা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এটা ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। আজকের অনুশীলনে আমাদের পরিকল্পনা ও স্কিল নিয়ে কাজ করার দারুণ একটা সুযোগ। আমি নিশ্চিত, পরের দুই ম্যাচে আমরা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারব।’
প্রথম ম্যাচ হেরে ১-০তে পিছিয়ে থাকলেও ২-১ এ সিরিজ জিততে চায় নেদারল্যান্ডস। ক্রোসের ভাষ্যমতে, ‘হ্যাঁ, নিশ্চিতভাবেই। আমি একটু আগেও বলেছি আমাদের মাঝে ওই বিশ্বাস আছে যে আমরা ভালো পারফরম্যান্স করে দেখাতে পারি। আমাদের ২-১ ব্যবধানে সিরিজ না জেতার কোনো কারণও নেই। এমন নয় যে এটা সম্ভব না।’
মুখে বললেও বাংলাদেশের কন্ডিশনে এসে সিরিজ জিতে যাওয়াটা যে তাদের সহজ হবে না সেটা ভালো করেই জানেন ক্রোস। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিপক্ষে খেলে নিজেদের সামর্থ্যকে পরীক্ষা করার সুযোগ হিসেবেও দেখছেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটারের মতে, ভালো পারফরম্যান্সের জন্য তারা ভালো অবস্থায় আছেন এবং কঠোর পরিশ্রম করছেন।
ক্রোস বলেন, ‘আমি আগেও বললাম, অভিজ্ঞতটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এমন মানের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য একটা রেফারেন্স পয়েন্টও। আমি মনে করি, ভালো পারফরম্যান্স করার ও সামর্থ্য দেখানোর মতো ভালো আমরা অবস্থায় আছি। এসব নিয়ে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’