টেন্ডুলকারের নাম অ্যান্ডারসনের পরে কেন, ক্ষোভ গাভাস্কারের

ছবি: জেমস অ্যান্ডারসন ও শচিন টেন্ডুলকার, ফাইল ফটো

গাভাস্কারের মতে, এই সিরিজের নাম হওয়া উচিত ছিল ‘টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফি’। এর আগে ইংল্যান্ড সফরে ভারত গেলে সেই ট্রফির নাম হতো ‘পতৌদি ট্রফি’ এবং ইংল্যান্ড ভারতের মাটিতে খেললে সেটার নাম হতো ‘অ্যান্থনি ডি মেলো ট্রফি’। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন একক ট্রফি থাকবে—‘অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি’। যদিও তা পুরোপুরি পছন্দ হয়নি ভারতের সাবেক অধিনায়ক গাভাস্কারের।
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজেও থাকছে পাতৌদির নামও
১৮ জুন ২৫
মিড–ডেতে লেখা এক কলামে গাভাস্কার লিখেন, 'অ্যান্ডারসনের নামটা আগে এসেছে, এটাই বেশিরভাগ ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর জন্য পীড়াদায়ক। টেন্ডুলকার শুধু কপিল দেবের সঙ্গে ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটারই নন, তিনি অ্যান্ডারসনের চেয়ে ১২ বছরের বেশি সিনিয়র।'

গাভাস্কার যুক্তি দিয়েছেন, 'টেস্ট ক্রিকেটে রান ও সেঞ্চুরির দিক থেকে টেন্ডুলকার এক নম্বরে, এমনকি ওয়ানডেতেও তাঁর রান অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশি। অ্যান্ডারসন টেস্ট উইকেটশিকারিদের তালিকায় তৃতীয়, কিন্তু ওয়ানডেতে তাঁর রেকর্ড শচীনের ধারেকাছেও নয়।'
‘কাউকে সুযোগ দেয়া যাবে না যাতে আপনাকে দল থেকে বের করে দেয়’
২৫ মে ২৫
২০১১ সালে ভারতের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেন শচিন। অ্যান্ডারসন জিতেননি। এমনকি ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতলেও ততদিনে ওয়ানডে থেকে পুরোপুরি ব্রাত্য ছিলেন অ্যান্ডারসন। সেটাও তুলে ধরেন গাভাস্কার।
তিনি আরো বলেন, 'টেন্ডুলকার বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ ছিলেন, কিন্তু অ্যান্ডারসন নন। অ্যান্ডারসন দুর্দান্ত বোলার ছিলেন, তবে মূলত ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে। বিদেশের মাঠে তাঁর রেকর্ড টেন্ডুলকারের সঙ্গে তুলনীয় নয়।'
সবশেষে গাভাস্কারের অনুরোধ, 'আমি সব ভারতীয় ক্রিকেট–ভক্ত এবং ভারতীয় গণমাধ্যমকে অনুরোধ করব, এটাকে ‘টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফি’ বলার জন্য।'