লর্ডসের রানই মার্করামের জীবনে সবচেয়ে দামি রান

ছবি: সাউথ আফ্রিকাকে শিরোপা জিতিয়ে ম্যাচসেরা এইডেন মার্করাম

অস্ট্রেলিয়ার দুই ইনিংস ও সাউথ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের বিবেচনায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ২৮২ রানের লক্ষ্য অনেকটা কঠিন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনবার ২৫০— এর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড থাকায় হয়ত আশায় বুক বাঁধছিলেন দেশটির সমর্থকরা। তবে প্রথম ইনিংসের মতো এবারও শুরুট হলো নড়বড়ে। রায়ান রিকেলটন ফিরলেন একেবারে তৃতীয় ওভারে।
চোকার্স থেকে চ্যাম্পিয়ন সাউথ আফ্রিকা
১৭ ঘন্টা আগে
শুরুতে রিকেলটনকে হারালেও উইয়ান মুল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে সাউথ আফ্রিকাকে পথ দেখিয়েছেন মার্করাম। মুল্ডারের বিদায়ে অবশ্য ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে তাদের দুজনের ৬১ রানের জুটি। ৭০ রানে ২ উইকেট হারানোর পরের গল্পটা শুধু মার্করাম ও টেম্বা বাভুমা। তারা দুজনে মিলে গড়েছেন ২৫০ বলে ১৪৭ রানের জুটি। তাদের দুজনের ওমন ব্যাটিংই শেষ পর্যন্ত জিতিয়েছে প্রোটিয়াদের।

বাভুমা ৬৬ রান করে ফিরলেও মার্করাম খেলেছেন ১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস। সাউথ আফ্রিকা যখন জয় থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে তখন আউট হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ওমন ইনিংসে ১৯৯৮ সালের পর সাউথ আফ্রিকাকে আইসিসির টুর্নামেন্টের ফাইনাল জিতিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। আফ্রিকানদের ২৭ বছরের আক্ষেপ ঘুচাতে পারায় মার্করামের কাছে এগুলোই সবচেয়ে দামি রান।
শিরোপাজয়ী সাউথ আফ্রিকার প্রাপ্তি ৪৪ কোটি টাকা
১৮ মিনিট আগে
ম্যাচ শেষে মার্করাম বলেন, ‘কখনো এর চেয়ে দামি রান করিনি। বিষয়টা একটু অদ্ভুত, প্রথম ইনিংসে ডাক মেরে ফেরার পর সবকিছু কীভাবে ঠিকঠাক হলো। কিছুটা ভাগ্যও দরকার হয়। লর্ডস এমন জায়গা, যেখানে সবাই খেলতে চায়। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক সমর্থক এসেছেন, এটা অন্যতম বিশেষ একটা দিন তাঁদের জন্যও।’
মার্করামের মতো সাউথ আফ্রিকার শিরোপা জয়ে বড় অবদান রেখেছেন কাগিসো রাবাদাও। দুই ইনিংস মিলে ৯ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। এমন পারফরম্যান্সের পর তাদের দুজনকেই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অধিনায়ক বাভুমা।
তিনি বলেন, ‘কেজি (কাগিসো রাবাদা) দারুণ একজন ক্রিকেটার। কয়েকদিন আগে আমি হল অব ফেমে যুক্ত হওয়াদের কাছে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় কয়েক বছর পর সেও ওইখানে থাকবে। এইডেনও অবিশ্বাস্য একজন। অনেক মানুষই তাঁর জায়গা নিযে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু তাঁর মধ্যে ওই সামর্থ্য আছে। এইডেন যেভাবে খেলতে ভালোবাসে সেভাবেই খেলেছে।’