মার্করামের অনুরোধেই ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হননি বাভুমা

ছবি: টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম

যদিও ইনিংসের শুরুতেই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরতে পারতেন বাভুমা। তবে এইডেন মার্করামের অনুরোধেই উইকেটে থেকে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক। যার ফল পেয়েছে হাতেনাতে দলটি। বাভুমা তখন ব্যাট করছিলেন ৬ রান নিয়ে। চা বিরতির আগে তখন আরও দুই ওভার বাকি।
লর্ডসের রানই মার্করামের জীবনে সবচেয়ে দামি রান
৫ ঘন্টা আগে
প্রথমে মাঠে দীর্ঘ চিকিৎসা নেয়ার পর চা পানের বিরতিতে চলে যায় দল। ঠিকমতো দৌড়াতে পারছিলেন না তখন বাভুমা। তবে চার পানের বিরতির পর অবশ্য তাকে কোনো অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়নি। উল্টো হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। অপরাজিত আছেন ৬৫ রান নিয়ে।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সাউথ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স বলেন, 'আমাদের একটি বড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল—সে ব্যাটিং চালিয়ে যাবে কিনা এবং এটি তার স্ট্রোক প্লে কিভাবে প্রভাবিত করবে, কিভাবে এইডেনের ছন্দে প্রভাব ফেলতে পারে। যদি দুই রান এক রানে পরিণত হয়, বা তারা দুই বা তিন রান দৌড়াতে না পারে। দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা খেলা চালিয়ে যাবে। বাভুমাও খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল।'
চোকার্স থেকে চ্যাম্পিয়ন সাউথ আফ্রিকা
৮ ঘন্টা আগে
অবশ্য এক্ষেত্রে মার্করামের অনুরোধই বাড়তি ভূমিকা রেখেছে জানিয়ে প্রিন্স বলেন, 'এইডেন জোর দিয়েছিল যে পার্টনারশিপই মূল বিষয়। অবশ্যই, যদি [ট্রিস্টিয়ান] স্টাবস মাঠে নামত, তবুও টেম্বার উইকেট অক্ষত থাকত, কিন্তু তখন নতুন পার্টনারশিপ শুরু হত। তারা বেশ ভালো বোধ করছিল এবং চালিয়ে যেতে চেয়েছিল। এইডেন ভালো করেই জানত যে তাকে দৌড়ানোর গতি কমাতে হবে যাতে টেম্বা সহজে খেলতে পারে।'
সাউথ আফ্রিকার সেই পরিকল্পনাই কাজে লেগেছে। বাভুমাকে নিয়ে মার্করাম নিজেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১০২ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন। প্রিন্স দলের একতাকেই জোর দিয়েছেন। এমনকি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ দলটিকে ভালো পারফর্ম করতে সাহায্য করছে বলে জানালেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, 'টেম্বা কঠোর পরিশ্রমী। এইডেনের প্রতি টেম্বার গভীর শ্রদ্ধা আছে। আসলে, আমি মনে করি এই দলের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তাদের মধ্যে যে একতা আছে... তারা ভালো করেই জানে যে সাউথ আফ্রিকার অতীতে আরও অনেক বড় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন খেলোয়াড় ছিল, কিন্তু তাদের ড্রেসিং রুমে এখন কিছু বিশেষ ঘটছে, যা একে অপরকে টেনে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।'