থিকশানার হ্যাটট্রিকেও সিরিজ হার শ্রীলঙ্কার
ছবি: লঙ্কানদের আরেকটি উইকেট পতনে কিউইদের উল্লাস, ফাইল ফটো
এ দিন সকালে দাপট দেখাতে শুরু করে বৃষ্টি। লম্বা সময় ধরে চলা বৃষ্টি থামার পরে দুই দলের জন্য ম্যাচ নেমে আসে ৩৭ ওভারে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সেই ৩৭ ওভারেই ৯ উইকেটে ২৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ রানেই উইল ইয়াংয়ের উইকেট হারায় কিউইরা। আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্প তাক করা বলে বোল্ড হন ১৬ রান করা এই ওপেনার। সেখান থেকে রাচিন ও চ্যাপম্যান ১১২ রানের জুটি গড়েন।
১৪৩ রানের সময় চ্যাপম্যানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন থিকশানা। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লংঅফে ধরা পড়েন পাঁচটি চার এবং দুটি ছক্কায় ৬২ রান করা চাপম্যান। দলীয় ১৬৮ রানে ফিরে যান রাচিনও। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলি বুঝতে না পেরে শর্ট এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তোলেন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন তিনি। নতুন ব্যাটার টম ল্যাথাম ফিরে যান এক রান করেই।
সেখান থেকে ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে ২৫৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। ফিলিপস একটি চার ও একটি ছক্কায় ২২ রান ও সান্টনার দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২০ রান করেন। এ ছাড়া ড্যারিল মিচেল করেন তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ রান।
দলের আর কোনও ব্যাটার দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। ৩৫তম ওভারের শেষ দুই বলে সান্টনার এবং নাথান স্মিথকে ফেরান থিকশানা। ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে ম্যাট হেনরিকে বিদায় করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। কিউইদের বিপক্ষে এবারই প্রথম কোনও স্পিনার হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন। এর আগে কিউইদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক পাওয়া চার বোলারই ছিলেন পেসার।
আট ওভারে ৪৪ রান দিয়ে হ্যাটট্রিকসহ চারটি উইকেট তুলে নিয়েছেন থিকশানা। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে সপ্তম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া হাসারাঙ্গা ৮ ওভারে ৩৯ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো ও ইশান মালিঙ্গা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০.২ ওভারে ১৪২ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ২২ রানেই চারটি উইকেট হারায় দলটি। পাথুম নিশাঙ্কা (ছয় বলে এক), কুশল মেন্ডিস (চার বলে দুই), আভিশকা ফার্নান্দো (১৫ বলে ১০) এবং চারিথ আসালঙ্কা (তিন বলে চার) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। এরপর ৫৭ রানের জুটি গড়েন কামিন্দু মেন্ডিস এবং জানিথ লিয়ানাগে।
৩১ বলে ২২ রান করে স্মিথের বলে লিয়ানাগে ফিরে গেলে আবার ছন্দ হারায় লঙ্কানরা। এরপর চামিদু বিক্রমাসিংহের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়লেও ম্যাচ বের করতে পারেননি মেন্ডিস। বিক্রমাসিংহে ১৭ রানে ফিরতেই সব আশা শেষ হয় দলটির। কামিন্দু ফিরে যান ৬৬ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৪ রান করে। কিউইদের হয়ে ৩১ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন ও'রুর্কি।