আইপিএল নিলামে ঝড় তোলা কারা এই প্রশান্ত-কার্তিক

আইপিএল
আইপিএল নিলামে ঝড় তোলা কারা এই প্রশান্ত-কার্তিক
কার্তিক শর্মা ও প্রশান্ত বীর
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
আইপিএল নিলামের ইতিহাসে আনক্যাপড ভারতীয় ক্রিকেটারদের দামের নতুন অধ্যায় রচিত হলো আবুধাবিতে। উত্তর প্রদেশের ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার প্রশান্ত বীর এবং রাজস্থানের ১৯ বছর বয়সী উইকেটকিপার কার্তিক শর্মা—দুজনকেই ১৪.২ কোটি রুপি দিয়ে দলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।

এর মধ্য দিয়ে তারা যৌথভাবে আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি আনক্যাপড ভারতীয় খেলোয়াড় হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে আনক্যাপড ভারতীয় হিসেবে সর্বোচ্চ দাম ছিল ২০২২ সালে আভেশ খানের ১০ কোটি রুপি। সেই রেকর্ড এবার অনেকটাই পেছনে ফেলে দিলেন প্রশান্ত বীর ও কার্তিক শর্মা।

এই নিলামে আনক্যাপড ভারতীয়দের বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক পাওয়ার তালিকায় আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাম জম্মু ও কাশ্মীরের পেসার আকিব নবি। দিল্লি ক্যাপিটালস তাকে দলে নিয়েছে ৮.৪ কোটি রুপিতে। এ ছাড়া উইকেটকিপার তেজস্বী দাহিয়াকে নিতে ৩ কোটি খরচ করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

মুকুল চৌধুরীকে পেতে ২.৬ কোটি খরচ হয়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের। এর বাইরে পেসার নমন তিওয়ারিকে ১ কোটি দিয়ে কিনেছে লক্ষৌ। প্রশান্ত বীরের নিলামের ভিত্তিমূল্য ছিল মাত্র ৩০ লাখ রুপি। শুরুতে তার জন্য লড়াই শুরু হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও লক্ষ্ণৌয়ের মধ্যে।

পরে চেন্নাই ও লক্ষ্ণৌয়ের মাঝে লড়াইয়ে যোগ দেয় রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংসই ১৪.২ কোটি রুপি দিয়ে বীরকে কিনে নেয়। এখন পর্যন্ত তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগ, সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফি ও উত্তর প্রদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে পারফরম্যান্সের সুবাদেই তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের ট্রায়ালে যোগ দিয়েছিলেন।

বীরকে দলে নেওয়ার পরপরই চেন্নাই আরেক আনক্যাপড তারকা কার্তিক শর্মার জন্য লড়াইয়ে নামে। তারও ভিত্তিমূল্যও ছিল ৩০ লাখ রুপি। এখানেও শুরুতে বিড করে মুম্বাই ও লক্ষ্ণৌ। এরপর কলকাতা ও চেন্নাইও লড়াইয়ে নামে। কার্তিককে লোয়ার অর্ডার ফিনিশার হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

১২টি টি-টোয়েন্টিতে ৩৩৪ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ১৬৪। ব্যাট হাতে মেরেছেন ২৮টি ছক্কা। এই পরিসংখ্যানই তাকে আইপিএলে দল পেতে বড় ভূমিকা রেখেছে। নিলামে নজর কেড়েছেন আকিব নবিও। রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে পেছনে ফেলে দিল্লি ক্যাপিটালস তাকে দলে নেয়।

২৯ বছর বয়সী এই পেসার গত কয়েক মৌসুম ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করছেন। চলমান সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে ৭ ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি, ইকোনমি রেট ৮-এর নিচে। এর আগে কলকাতা ও সানরাইজার্স হায়দরবাদের নেট বোলার হিসেবে ছিলেন তিনি।

আরো পড়ুন: আইপিএল