২০১২ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে আইপিএলে অভিষেক হয় ডু প্লেসির। অভিষেকের পর থেকেই আইপিএলের নিয়মিত ক্রিকেটার সাউথ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক। চেন্নাই ছাড়াও খেলেছেন রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। সবচেয়ে বেশি সাতটি মৌসুম খেলেছেন পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের জার্সিতে।
সবমিলিয়ে ১৩ মৌসুমে ১৫৪ ম্যাচে ৩৫.০৯ গড় ও ১৩৫.৭৮ স্ট্রাইক রেটে ৪ হাজার ৭৭৩ রান করেছেন ডু প্লেসি। ৩৯ হাফ সেঞ্চুরি করা ডানহাতি ব্যাটার ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন ২০২৩ আইপিএলে। সেবার বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৪ ম্যাচে ৭৩০ রান করেছিলেন। বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ৮ মৌসুম খেলেছেন মঈন। সবচেয়ে বেশি চারটি আসর খেলেছেন চেন্নাইয়ের জার্সিতে।
এক হাজারের বেশি রান করার পাশাপাশি ৪১ উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার। আইপিএলের গত আসরের মেগা নিলামে শেষের দিকে গিয়ে দল পেয়েছিলেন ডু প্লেসি ও মঈন। তাদের কাউকেই রিটেইন করেনি দিল্লি ও কলকাতা। আগামী আসরে দল পাবেন কিনা সেটার নিশ্চয়তাও নেই। অনেকেরে ধারণা, সেই ভাবনা থেকেই একই সময়ে হতে যাওয়া পিএসএলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
আইপিএল ছেড়ে পিএসএলে যাওয়া ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে উইলি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা একেবারে ব্যক্তিগত। আপনি কখনোই জানেন না আইপিএলের নিলামটা কেমন হবে। আমার মনে হয় পিএসএলে খেলোয়াড়দের জন্য একটু বেশি নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা রয়েছে। যেটা বললাম এটা সবার ব্যক্তিগত পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।’
‘তারা হয়ত মনে করতে পারে এখানে ১০-১১ সপ্তাহ সাইডলাইনে বসে থাকার চেয়ে পিএসএলে খেলার সম্ভাবনা বেশি। এটা একটা বড় কারণ হতে পারে। ভারতে আইপিএলের জনপ্রিয়তা এত বেশি সেটা আপনি অন্য কোথাও অনুভব করতে পারবেন না। এটা খুবই বিশেষ একটা লিগ।’
আইপিএলের পাশাপাশি পিএসএলেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে ডু প্লেসি ও মঈনের। ২০১৯ সালে পেশাওয়ার জালমি ও পরের বছর সাউথ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার ডু প্লেসি খেলেছেন কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের হয়ে। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন একটা মৌসুম খেলেছেন মুলতান সুলতান্সের জার্সিতে। তাদের দুজনের পাশাপাশি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও দেখা যেতে পারে পিএসএলে। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারও আইপিএল নিলামে নাম দেননি।