আইপিএলে পরাগের শুরুটা হয়েছে ২০১৯ সালে, রাজস্থানের জার্সিতে। অভিষেক মৌসুমে ৭ ম্যাচে করেছিলেন ১৬০ রান। পরের তিন আসরে অবশ্য বলার মতো কিছু করতে পারেননি। ২০২০-২১ মৌসুমে ১২ ম্যাচে করেছিলেন ৮৬ রান। ২০২১ সালে ১১ ম্যাচে ৯৩, ২০২২ সালে ১৭ ম্যাচে মাত্র ১৮৩ রান করেছিলেন। সেই তিন আসরের কোনটিতেই ২০ ছাড়ায়নি ডানহাতি ব্যাটারের ব্যাটিং গড়। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে সময়টা কেটেছে ২০২৩ আইপিএলে।
১১৮.১৮ স্ট্রাইক রেট ও ১৩ গড়ে ৭ ম্যাচে ৭৮ রান করেছিলেন পরাগ। সেবার অবশ্য ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে আসামের হয়ে ১৬৫.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৭ ইনিংসে ২৫৩ রান করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অথচ আইপিএলে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি তিনি। তবে পরের মৌসুমেই নিজেকে বদলে ফেলেন পরাগ। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিয়ে খেলেন চার নম্বরে। সেটা বেশ কাজেও দিয়েছে আসামের এই ব্যাটারকে।
সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ১৮২.৭৯ স্ট্রাইক রেট ও ৮৫ গড়ে ১০ ম্যাচে ৫১০ রান করেছিলেন পরাগ। ১০ ইনিংসের সাতটিতেই পঞ্চাশ ছুঁয়েছিলেন। সেবার পারফর্ম করেছিলেন আইপিএলেও। ১৪৯.২১ স্ট্রাইক রেট ও ৫২.০৯ গড়ে ১৬ ম্যাচে করেছিলেন ৫৭৩ রান। চারটা হাফ সেঞ্চুরিও করেছিলেন ২৪ বছর বয়সি এই ব্যাটার। গত আসরেও প্রায় চারশ রান। নতুন মৌসুমের আগে নিজের খারাপ সময়ের গল্পগুলো শুনিয়েছেন পরাগ। তিনি জানান, এমনও কিছু মৌসুম গেছে যেখানে ঘরোয়াতে না করলেও আইপিএলে সেটার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি। আবার উল্টো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে পরাগ বলেন, ‘লম্বা সময় ধরে আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার কারণে আমি বেশ কয়েকবার এমন (বাজে ফর্ম) অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছি। এখানে (ঘরোয়া ক্রিকেট) রান না করার মানে এই নয় আমি আইপিএল রান করব না। তিন বা চারবার এমন ঘটনা ঘটেছে যখন আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে স্ট্রাগল করেছি কিন্তু আইপিএলে ভালো খেলেছি। আবার এমনও দুইটা ঘটনা ছিল যখন আমি সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ৭ ম্যাচে ৪৫ কিংবা ৫০ গড়ে রান করেছি কিন্তু একই মৌসুমে আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ৭০ রানও করতে পারিনি।’
‘আমি বাথরুমে বসে কাঁদতাম আর ভাবতাম আমি কেন রান করছি না। আমি তখন ভাবতাম, ‘আমার কী করা উচিত? আমার কী আর একটু বেশি অনুশীলন করা উচিত নাকি একেবারেই অনুশীলন না করা উচিত নাকি ছুটিতে যাওয়া উচিত?’ আমি সবকিছুই চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি এখন খুব বেশি কিছু ভাবি না।’
আইপিএলের আগামী আসরের আগে ট্রেডে রাজস্থান ছেড়ে চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দিয়েছেন সাঞ্জু স্যামসন। নিলামের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে যোগ দিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। সবশেষ কয়েক আসরে রাজস্থানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্যামসন। গত মৌসুমে ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার চোটে পড়লে অধিনায়কত্ব করেছেন পরাগ। দলটির স্থায়ী অধিনায়ক হতে পারেন তিনি। যদিও তালিকায় বেশ ভালোভাবেই আছেন জাদেজা। এখনো কারও নাম চূড়ান্ত করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ১৬ ডিসেম্বরের নিলাম শেষে নতুন অধিনায়ক বেছে নেবে রাজস্থান।