নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে জন্ম হলেও ঢাকার নাখালপাড়ায় পলাশের বেড়ে ওঠা। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের জীবন শেষ করে কলেজে ভর্তি হন তিনি। ওই সময়ই সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন বর্তমানের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। পরবর্তীতে অভিনয় জগতেও পা রাখেন। ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি বাঁক নেয় ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক দিয়ে। কাবিলা চরিত্রে সবার মন জয় করে নেন পলাশ।
সেই কাবিলাই এখন বিপিএলে খেলতে যাওয়া নোয়াখালীর অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন। প্রথমবার বিপিএলে আসা নোয়াখালীকে সবার কাছে পরিচিত করতেই নিজেদের এলাকার তুমুল জনপ্রিয় পলাশকে অ্যাম্বাসেডর বানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আগামী বিপিএলে ঢাকা, সিলেট কিংবা চট্টগ্রামে বিভিন্ন সময় মাঠে দেখা যেতে পারে তাকে। এমনকি বিভিন্ন প্রমোশনাল কাজেও যুক্ত থাকবেন ছোট পর্দার এই অভিনেতা।
বিপিএলের জন্য ইতোমধ্যে শক্তিশালী দল বানিয়েছে নোয়াখালী। নিলামের আগে সরাসরি চুক্তিতে সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ, জনসন চার্লস ও কুশল মেন্ডিসকে দলে নিয়েছে তারা। কদিন আগে হওয়া নিলাম থেকে জাকের আলী অনিক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহানকেও স্কোয়াডে যুক্ত করেছে। বিদেশি হিসেবে খেলবেন ইহসানউল্লাহ খান ও হায়দার আলী।
নিলামের পর মোহাম্মদ নবির সঙ্গেও সরাসরি চুক্তি করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। জিমি নিশাম, আভিস্কা ফার্নান্দো ও ম্যাথ ফোর্ডের মতো ক্রিকেটারদের সঙ্গেও আলোচনা করছে তারা। বিপিএলের আগামী আসরে নোয়াখালীর প্রধান কোচ হিসেবে দেখা যাবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। সহকারী কোচের দায়িত্ব থাকবেন তালহা জুবায়ের। মেন্টর হিসেবে বিদেশি কাউকে আনার চেষ্টা করছে তারা।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস:
সরাসরি চুক্তি— সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ, জনসন চার্লস, মোহাম্মদ নবি এবং কুশল মেন্ডিস।
নিলাম থেকে— জাকের আলী অনিক, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহান, নাজমুল ইসলাম অপু, রেজাউর রহমান রাজা, আবু হাশেম, মুশফিক হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদী হাসান রানা, সৈকত আলী, সাব্বির হোসেন, রহমতউল্লাহ আলী, ইহসানউল্লাহ খান, হায়দার আলী।