মূলত কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারের অবসরে যাওয়ার আগে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনুমতি নেই। বিসিসিআইয়ের বর্তমান নীতিমালায় স্পষ্ট বলা আছে, আন্তর্জাতিক, দেশীয় বা আইপিএলে সক্রিয় কোনো ভারতীয় ক্রিকেটার বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন না। তাই অবসরের পরই কেবল কার্তিককে দেখা গেছে এসএ টোয়েন্টিতে। যদিও এসএ টোয়েন্টির বেশিরভাগ দলেরই মালিকানায় রয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে স্মিথ বলেন, 'প্রথমত, আমরা আরও ভারতীয় খেলোয়াড় চাই। ভারত যখন সাউথ আফ্রিকায় খেলতে আসে, তখন দেখা যায় তাদের প্রতি সমর্থকদের ভালোবাসা। প্রতিভাও রয়েছে তাদের। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাব। ভবিষ্যতে যদি নিয়ম বদলায়, ছয় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকায় আমরা ভারতীয় খেলোয়াড়দের আকৃষ্ট করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।'
কার্তিকের মতো ক্রিকেটারের চুক্তিগুলো সরাসরি ফ্র্যাঞ্চাইজি ও খেলোয়াড়ের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে অবসরপ্রাপ্তদের আনতে গিয়ে প্রতিযোগিতার মান ধরে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন স্মিথ। এসএ টোয়েন্টির এবারের মৌসুম শুরু হবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে। ফাইনাল ২৫ জানুয়ারি।
সাউথ আফ্রিকার ছয়টি শহরে এবার এসএ টোয়েন্টির আসর অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত সাউথ আফ্রিকায় ২৬ ডিসেম্বরেই বক্সিং ডে টেস্ট হয়, কিন্তু এবার সেই দিনেই শুরু হবে লিগ। এর আগের বছর পাকিস্তান সফরে ছিল সাউথ আফ্রিকা এবং দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ টেস্টে জিতে তারা নিশ্চিত করেছিল ডব্লিউটিসি ফাইনাল।
২০২৩ সালে এই দিনে ভারত খেলেছিল সেঞ্চুরিয়নে, যেখানে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩২ রানে জিতেছিল। ২০০১ সাল থেকে নিয়মিতই বক্সিং ডে টেস্ট আয়োজন করে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা, কেবল কয়েকটি বছর ছাড়া। এবার তারা এসএ টোয়েন্টির জন্য সেই রীতি ভাঙতে যাচ্ছে।