বিপিএলে চিটাগং কিংসকে না রাখার ব্যাখ্যা দিলেন মিঠু

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
বিপিএলে চিটাগং কিংসকে না রাখার ব্যাখ্যা দিলেন মিঠু
চিটাগং কিংস
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
বেশ কয়েকবার নোটিশ দেয়া হলেও চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, ট্যাক্স, খেলোয়াড় ও দলের সদস্যদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি চিটাগং কিংস। এমন অবস্থায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। তবে ইওআই (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট) অনুযায়ী প্রত্যাশিত কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় বিপিএলে দল পাওয়ার প্রাথমিক লড়াই থেকে ছিটকে গেছে তারা।

বিপিএলে দল নেয়া আগ্রহ প্রকাশ করা ১১টি প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র পর্যালোচনা করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সব ধরনের শর্ত পূরণ করতে না পারায় প্রথম ধাপে বাদ পড়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকায় মাইন্ড ট্রি ও বাংলা মার্ক লিমিটেডের সঙ্গে রয়েছে এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। যার ফলে বিপিএলের আগামী পাঁচ মৌসুমে দেখা যাবে না চিটাগং কিংস। তবে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি নেয়ার দৌড়ে আছে ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস লিমিটেড।

তাদের না রাখার ব্যাখ্যায় ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘প্রাথমিক যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আইন বিভাগ, লিগ্যাল কনসালেটেন্সি ফার্ম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম ১১টি ইওআই অংশগ্রহণকারীর নথি পর্যালোচনা করেছে। বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়ায় শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ, বাংলা মার্ক লিমিটেড, মাইন্ড ট্রি ও রূপসী কনক্রিট লিমিটেড কনসোর্টিয়াম।’

দল নিতে আগ্রহ দেখানোর পর ১১টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে সভা করার কথা ছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের। ৩০ অক্টোবর সেই সভা হলেও শর্ত পূরণ করতে না পারায় এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড ও দেশ ট্রাভেলসকে ডাকেনি তারা। পরবর্তীতে চিটাগং কিংস বিবৃতি দিয়ে জানায়, আদালত অবমাননা করেছে বিসিবি। সেই সঙ্গে দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে হাইকোর্টের আদেশ প্রেরণও করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

যদিও সেটার বিরুদ্ধে আপিল করে বিসিবি। পরবর্তীতে ২ নভেম্বর বিকেলে চিটাগং কিংসের সেই স্টে অর্ডারের স্থগিতাদেশ পেয়েছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। যার ফলে তাদেরকে বিপিএলে রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল না তাদের কাছে। এমন অবস্থায় বিসিবির আইনজীবী ব্যারিষ্টার মাহিন রহমান জানান, টাকা উদ্ধার করতে সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়ার সহায়তা নেবেন তারা। সেই সঙ্গে কঠিন আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মাহিন রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, তাদের (চিটাগং কিংস) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। উনি যে অর্ডার নিয়েছেন কোর্ট থেকে, আমরা কিন্তু ওইটা গ্রহণ করিনি। আমরা কিন্তু আপিল করেছিলাম এবং আপিল করে আমরা সেটার উপর স্থগিতাদেশ পেয়েছি। তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার জন্য যত আইনি প্রক্রিয়া কোনটাই আমরা বাদ রাখছি না। আমরা কঠিন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বিপিএলের প্রথম দুই আসরে খেললেও প্রথম দুই আসরের পাওনা পরিশোধ করেনি চিটাগং কিংস। সবশেষ আসরেও ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও দলের অন্যান্য সদস্যদের পারিশ্রমিক দেয়নি তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার পান হেড কোচ শন টেইট। টাকা পায়নি মেন্টর শহীদ আফ্রিদি, উপস্থাপিকা ইয়াশা সাগরও। যতটুকু জানা গেছে ৮১ হাজার ডলার এখনো পাবেন আফ্রিদি। এ ছাড়া ঢাকার শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ ও সিলেটের রোজ ভিউ হোটেল তাদের কাছে ১৭ লাখ টাকা পায়। এ ছাড়া শরিফুল ইসলামের মতো ক্রিকেটাররা এখনো পারিশ্রমিক পাননি।

এ প্রসঙ্গে বিপিএলের সদস্য সচিব মিঠু বলেন, ‘আমাদের কাছে যে অভিযোগগুলো এসেছে—শন টেইট তাদের কাছে প্রায় ৩৭ হাজার ডলার পায়, রোজ ভিউ হোটেল সিলেট তারা প্রায় ১৭ লাখ টাকা ক্লেইম করেছে, শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ টাকা পায়। আপনারাও জানেন অনেক ক্রিকেটার কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে বলছে তারা টাকা পায়নি। এর আগে শহীদ আফ্রিদিও ক্লেইম করেছিল, ইয়াশা সাগরও অভিযোগ করেছিল। সাথে আমাদের আগের আসরেও বিবাদ আছে, আর্বিটেশনে চলছে। এটা চিটাগং কিংসের পরিস্থিতি।’

আরো পড়ুন: বিপিএল