‘সাকিবরা জানে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়’

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ
‘সাকিবরা জানে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়’
উইকেট পেয়ে সাকিব আল হাসানের উদযাপন
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে বোলিংয়ে সাকিব আল হাসানের ৪ উইকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের সঙ্গে সহজ জয়ই পেয়েছিল দুবাই ক্যাপিটালস। তবে পরের ম্যাচে বিগ ব্যাশের চ্যাম্পিয়ন হোবার্ট হারিকেন্সের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেননি তারা। ছোট পরিসরের টুর্নামেন্ট হওয়ায় সময় নিয়ে কিছুর করার সুযোগ নেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। তবে এমন টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়াতে সাকিব, নিরোশান ডিকওয়েলার মতো অভিজ্ঞতায় ভরসা রাখছে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়নরা। গুলবাদিন নাইব জানান, সাকিবদের মতো পেশাদার ক্রিকেটাররা জানেন কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়।

গায়ানা সুপার লিগে নিজেদের শুরুটা ভালো হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই হোবার্টের বিপক্ষে হোঁচট খায় দুবাই। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। সেদিকউল্লাহ অটল আবারও ভালো চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। গুলবাদিনও ব্যাট হাতে ভালোর শুরুর চেষ্টাই করেছিলেন। তবে টি-টোয়েন্টি মেজাজে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেননি। দুবাইয়ের ব্যাটিং ইনিংসের ১৩তম ওভারে এসে বাগড়া দেয় বৃষ্টি।

যা কিনা ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়নদের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দিয়েছে। রোদ-বৃষ্টি লুকোচুরিতে কাজটা একেবারেই সহজ ছিল না তাদের জন্য। তবে ম্যাচ হারার জন্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায় দিয়েছেন দুবাইয়ের অধিনায়ক গুলবাদিন। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। আফগান অলরাউন্ডার মনে করেন, তারা যদি ১৬০ কিংবা তাঁর চেয়ে একটু বেশি রান করতে পারতো তাহলে সাকিব ও কাইস আহমেদের মতো বোলারদের জন্য কাজটা সহজ হতো।

ম্যাচ শেষে গুলবাদিন বলেন, ‘আসলে এখনকার কন্ডিশনটা একটু কঠিন। আপনারা তো আজকের আবহাওয়া দেখলেন মেঘাচ্ছন্ন ছিল, বৃষ্টি এলো তারপর রোদ উঠেছে। এখানে খানিকটা ভিন্নতা রয়েছে। আমরা একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি তখন কোন কিছু আমাদের পক্ষে থাকবে না তখন কিভাবে ম্যাচটা খেলতে হবে। আমরা মাঝের সময়টা কাজে লাগাতে পারিনি। আমাদেরকে ১৬০ রান করতে হতো তাহলে বোলারদের জন্য কাজটা সহজ হতো।’

‘আমাদের বোলিং সাইডটা কিন্তু বেশ অভিজ্ঞ। আমাদের সাকিবের মতো বোলার আছে, নতুন করে কাইস একাদশে এসেছে। আপনি ডমিনিক ড্রেকসের কথাও বলতে পারেন। বোলিংয়ে আমাদের অনেকগুলো অপশন আছে। আমি এটুকু বলতে পারি আজকের দিনটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। এখান থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখব।’

অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দুবাইয়ের প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক ছিলেন সাকিব। সেন্টাল ডিস্ট্রিক্টের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৮ রান করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৩ রান খরচায় বোলিংয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। তবে একদিন পরই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে হয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ককে। মোহাম্মদ নবিকে ছক্কা মারতে গিয়ে ৭ রানে আউট হওয়া সাকিব বল হাতে ছিলেন উইকেটশূন্য। সাকিবের এমন পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে দলের জয়-পরাজয়েও।

দুই ম্যাচের একটিতে জয় পাওয়া দুবাই বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের চারে অবস্থান করছে। গ্রুপ পর্বে তাদের শেষ দুই ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশের প্রতিনিধি রংপুর রাইডার্স ও স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। সেরা দুইয়ে থেকে ফাইনাল খেলতে চাইলে দুইটা ম্যাচই জিততে হবে তাদের। তবে এক ম্যাচ থেকে অন্য ম্যাচের মাঝে খুব বেশি সময় না থাকায় নিজেদের ভুল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না দলগুলো। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রচুর ম্যাচ খেলা সাকিব, অভিজ্ঞ নিরোশান ডিকওয়েলা এবং স্থানীয় ক্রিকেটার ডমিনিক ড্রেকসদের অভিজ্ঞতায় ভরসা রাখছে দুবাই।

গুলবাদিন বলেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমরা লম্বা সময় ধরেই খেলছি। আমাদের দলে বেশ ভালো ভালো ক্রিকেটার আছে। তারা সবাই সবকিছু জানে। সাকিব এখানে প্রচুর ম্যাচ খেলেছে। তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক। আপনি ডিকওয়েলার কথাও বলতে পারেন। ড্রেকসের মতো আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটারও আছে। তারা জানে এরকম একটা টুর্নামেন্টে আমাদেরকে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা পরের ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছি।’

আরো পড়ুন: সাকিব আল হাসান