তবে দুর্ঘটনার পরও কিছু সময় চলতে থাকে অনুষ্ঠান, যা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মতানৈক্য শুরু হলেও বিসিসিআই ও আইপিএল কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনো পক্ষ নেয়নি। তবে তারা জানিয়েছে, ঘটনাটি জানার পর দ্রুত অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়।
আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল বলেন, 'অত্যন্ত দুঃখজনক। স্টেডিয়ামের বাইরের ঘটনা সম্পর্কে আরসিবি কর্তৃপক্ষ কিছু জানতেন না। জানার পরই তারা অনুষ্ঠান ছোট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আমরাও বিজয় উৎসব বন্ধ করার অনুরোধ করি।'
বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বলেন, 'মর্মান্তিক। ঠিক কী কারণে এমন ঘটল, তা বলা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা কাউকে দোষ দিতে চাই না। কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষয়টি বোঝা যাবে।'
জানা গেছে, অনুষ্ঠানের জন্য আগে আসার ভিত্তিতে পাস দেয়া হচ্ছিল ভক্তদের। সকাল থেকেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে জমায়েত শুরু হয়। দুপুরের মধ্যে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে ভিড় আরও ছত্রভঙ্গ হয় এবং সেখান থেকেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া এ নিয়ে বলেন, 'এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এটা জনপ্রিয়তার নেতিবাচক দিক। আয়োজকদের আরও পরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠানটি করা উচিত ছিল। মৃতদের প্রতি সমবেদনা জানাই, আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। এই ঘটনার সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই, তবে এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।'