বোল্ট-চাহারের আগুনে বোলিং, রোহিতের ঝড়ে মুম্বাইয়ের টানা চার জয়

ছবি: টানা চার জয়ে উড়ছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, ফাইল ফটো

১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই রায়ান রিকেলটনের উইকেট হারায় মুম্বাই। জয়দেব উনাদকাট কট অ্যান্ড বোল্ডে ফেরান এই প্রোটিয়া ওপেনারকে। আট বলে ১১ রান আসে তার ব্যাটে। এরপর ৬৪ রানের জুটি গড়েন রোহিত ও উইল জ্যাকস।
রোহিত-সূর্যকুমারের ঝড়ের সামনে চেন্নাইয়ের আরো একটি হার
২০ এপ্রিল ২৫
১৯ বলে ২২ রান করা জ্যাকসকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জিশান আনসারি। এরপরও চলছিল রোহিত ঝড়, সঙ্গে যোগ দেন সূর্যকুমার। ৪৬ বলে আটটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭০ রান করে ইশান মালিঙ্গার শিকার হন রোহিত। মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
১৯ বলে অপরাজিত ৪০ রান করে দল জেতান সূর্যকুমার। দুই বলে দুই রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক ভার্মা। ১৫.৪ ওভারেই মামুলি এই লক্ষ্যে পৌঁছায় মুম্বাই।

জ্যাকসের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মুম্বাইয়ের জয়
১৭ এপ্রিল ২৫
রাজিব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে হায়দরাবাদ। ১৩ রানে চতুর্থ এবং ৩৫ রানের মধ্যে দলের পঞ্চম উইকেটটি হারায় তারা। দ্বিতীয় ওভারে বোল্টকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে উড়িয়ে মেরে শূন্য রানে ফেরেন ট্রাভিস হেড।
পরের ওভারে চাহারকে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন এক রান করা ইশান কিশান। বোল্টের করা নাকল ডেলিভারিতে এরপরের ওভারে, অর্থাৎ চতুর্থ ওভারে কভার-পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান আট রান করা অভিষেক শর্মা।
পঞ্চম ওভারে নিতিশ কুমার রেড্ডিকে ফেরান চাহার। দুই রান করা এই ব্যাটার মিড অনে ক্যাচ দেন। ১৪ বলে ১২ রান করে অনিকেত ভার্মা কিছুক্ষণ উইকেটে থাকলেও তাকে বিদায় করেন হার্দিক। উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন এই ব্যাটার।
এরপর ৯৯ রানের জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেন ও অভিনব মনোহর। ৪৪ বলে ৭১ রান করেন ক্লাসেন, ৩৭ বলে ৪৩ রান আসে অভিনবের ব্যাটে। শেষপর্যন্ত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৪৩ রানে থামে দলটি। ২৬ রান খরচায় চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন বোল্ট। এ দিন ১২টি ডট বল দেন এই পেসার। ১২ রান খরচায় দুই উইকেট নেয়া চাহার ডট বল দেন ১৭টি।